শেষ টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের দুর্দান্ত জয়

বাংলাদেশ সফরের শুরু থেকেই খাবি খাচ্ছিল আইরিশরা। ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের কাছে পাত্তা না পাওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিং-বোলিংয়ে বিপর্যস্ত সফরকারীরা। অনুমিত ছিল, শেষ টি-টোয়েন্টিতেও টাইগারদের কাছে পাত্তাই পাবে না পল স্টার্লিংয়ের দল। কিন্তু সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে আইরিশরা।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে ৪১ বলে ৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আইরিশদের জয়ের নায়ক অধিনায়ক পল স্টার্লিং।

 টস হেরে বোলিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আইরিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ১২৪ রানে আটকে দেয় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আইরিশরা।
 
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার। পরের ওভারেই লিটনের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হ্যারি টেক্টবের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
চতুর্থ ওভারে আবারও উইকেট। এবার ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন রনি তালুকদার।  পরিস্থিতি যখন বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছিল তখন উইকেট বিলিয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ রান।
 দলীয় ৪১ রানের মাথায় ফেরেন তৌহিদ হৃদয়ও। উইকেটে এসে শুরুতেই ছয় মেরে ভালোকিছুর আভাস দিয়েছিলেন অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন। কিন্তু খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনিও। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ডানহাতি রিশাদকে ফেরান হাম্ফ্রেইস।
 তাসকিনও ফেরেন একই ওভারে। ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। দশ ওভার শেষের আগেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
 
দিশেহারা বাংলাদেশকে কিছুটা আলোর পথ দেখিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও শামীম হোসেন। অষ্টম উইকেটে দুজন মিলে এনেছেন ৩৩ রান। গ্যারেথ ডিলানির বলে স্টার্লিংয়ের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে নাসুম ফেরেন ১৩ রানে। শরিফুলও ফেরেন দ্রুতই, ৫ বলে ৫ রান করে। এরপর লড়াইটা একাই চালিয়ে নেন শামীম। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৫১ রান করে থামেন তিনি।
 আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার। ম্যাথু হাম্ফ্রেইস নিয়েছেন দুই উইকেট। 
 
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছে আইরিশরা। স্রোতের বিপরীতে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে রস অ্যাডায়ার ফিরলেও থামছিল না রানের গতি। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসেন শরিফুল ইসলাম। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়ে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার।
 
পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট হারালেও রানের গতি কমেনি আয়ারল্যান্ডের। তৃতীয় উইকেটে হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে ফেলেন পল স্টার্লিং।
 
৭৭ রান করে অভিষিক্ত রিশাদের বলে ফেরেন স্টার্লিং। তবে ততোক্ষণে জয়ের ভিতটা পেয়ে গেছে আইরিশরা। কার্টিস ক্যাম্ফারকে নিয়ে বাকিটা পথ নির্বিঘ্নে পার করে দেন হ্যারি টেক্টর।
 
এই ম্যাচ হারলেও প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। 
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts