শিউল মনজুর ‍এর ‍পাঁচ পদ্য

shoul manjur

          শিউল মনজুর ‍

               এর ‍

            পাঁচ পদ্য

ডাকাত বৃষ্টি ও স্কুল বালিকারা

ডাকাত বৃষ্টি উলঙ্গ করে দিল সমস্ত শহর, ঝড়ের বেগে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিল সবাই। কেবলি স্কুল বালিকারা সাহসী হয়ে উঠলো; ডাকাত বৃষ্টির সাথে খুনসুটি খেলায় মেতে উঠলো তারা আর দু-চার উঠতি যুবতি, লজ্জার মাথা খেয়ে স্বর্গদূত শীতল জলের সাথে হাঁটতে হাঁটতে মিশে গেল আষাঢ়-শ্রাবণের গোপন আঙ্গিনায়। যেখানে ডাকাত বৃষ্টির মতো নতুন জলের অপেক্ষায় একদল যুবক শহরের উলঙ্গ রাস্তায় অথবা কালভার্টে দাঁড়িয়ে অধীর আগ্রহ নিয়ে প্রেমিকাকে ডাকছে…!

পাহাড়ে বৃষ্টি

পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে নামছে বৃষ্টির জল। এদিকে বারবার কেঁপে উঠছে ঈশ্বরের দুতারা। এরই মধ্যে নদীর জল ঘোলা হয়ে উঠেছে। সে ছুটতে শুরু করেছে বেগে আবেগে উজান ভাটির স্রোতে…। অতঃপর মেঘ থেকে জল নিঃস্বরণ পর্ব সমাপ্ত হলে স্বচ্ছ হয়ে ওঠে প্রবাহ…। পাহাড়েও ততক্ষণে থেমে গেছে বৃষ্টির মায়াকান্না!

বৃষ্টি কন্যা

বৃষ্টির সাথে দেখা হলো টিলাগড়ে, ভর দুপুরে
বৃষ্টি কন্যা যায় উড়ে উড়ে ঐ বাতাসের তোড়ে
আমার সাথে ছিল মন একখান
বৃষ্টিতে ভিজে সে হলো ছত্রখান!

shoul

মেঘে ও পালকে আঁকা লাল টি-শার্ট

দূরের মেঘালয় খোলে দেয় মেঘের দরজা। মেঘের হাওয়ায় উড়ে দূরন্ত কবির লাল টি-শার্ট। ধীরে ধীরে মেঘ নামছে, ধীরে ধীরে মেঘ নামছে। মেঘে মেঘে নেমে এলো ঝড়ো হাওয়া…। সেই ঝড়ো হাওয়ায় জেগে ওঠে কুমারী মাছরাঙার রঙধনু পালক। মেঘে ও পালকে খোলে যায় হৃদয়ের জানালা। হৃদয়ের জানালায় বইছে এখন ভালোবাসার হাওয়া।

বৃষ্টি জলের মাধুর্য

জল্পনা কল্পনা, বাড়ি ফেরা বিনয়ের কন্ঠে বিনীত প্রার্থনা;
রোকসানা রোকসানা।

তুমি কি জানো, রোকসানার শাদাকালো দৃষ্টি
গুচ্ছ গুচ্ছ থোকা থোকা ফুলের মতো ভাসে
তার গোল গোল চোখের মায়াবি মুখশ্রী
অভিধানের সকল প্রশংসা নিয়ে হাসে…

তুমি কি জানো সে তো বৃষ্টি জলের মাধুর্য
তার মাঝে সকল শিল্পের গোপন প্রাচুর্য
সে তো পৃথিবীর গন্ধবহুল নানা রঙের রায়হান ফুল
যে দিকে যায়, নদীর কলকল শব্দে প্রবাহিত হয়।

সে তো ভোরের মতো নরম কোমল অনিন্দ্য সুন্দর
তোমাদের লোডশেডিং গল্পে, সে জেগে রয় স্মৃতির শহর!

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts