মুস্তাফিজের ‍ঈদ হলো কান্না ভেজা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক পুরো ‍ঈদের দিনটি কেঁদেই পার হলো মুস্তাফিজের। ঈদকে ঘিরে কতটা না পরিকল্পনা ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের! বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন তারকা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠবেন! কিন্তু অনাকাঙ্খিত ঘটনায় সকল পরিকল্পনা ভেসে গেছে মুস্তাফিজের ও তার পরিবারের।

বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মুস্তাফিজের চাচাতো ভাই মোতাহার হোসেন (২৮)। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেনি মুস্তাফিজের পরিবার। মুস্তাফিজদের নতুন দোতলা ভবনের ওপরে পানি তোলার জন্য বসানো একটি বৈদ্যুতিক মোটরে গোলমাল দেখা দেয়। মোতাহার হোসেন নিজেই সেটি সারাতে যান। কিন্তু সংযোগ দিতে গিয়েই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন এক  সন্তানের বাবা মোতাহার হোসেন।

এক মাস আগেই আইপিএলের শিরোপা জিতে বীরের বেশে দেশে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে পূর্নবাসন প্রক্রিয়ায় ছিলেন জাতীয় দলের এ পেসার। ঈদের পরপরই কাউন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে উড়াল দিবেন মুস্তাফিজ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের সময়টা উপভোগ করার খুব ইচ্ছে ছিল বিস্ময়কর এ পেসারের। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ঘটনায় পুরো দিনটি ঘরে বসে কাটাতে হয়েছে দ্যা ফিজকে।

শুধু মুস্তাফিজ না আনন্দঘন এই পরিবেশের মধ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ব্যথিত আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, এমনকি তেঁতুলিয়া গ্রাম ও কালীগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের সব মানুষ। ঈদ যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মুস্তাফিজের পরিবার থেকে।

এ ঘটনায় মুহূর্তেই পাল্টে গেছে বাড়ির চেহারা। বিষাদে ঢাকা পড়েছে মোতাহার পরিবার। কেঁদে কাটিয়েছেন মুস্তাফিজ, তাঁর ভাই মাহফুজুর রহমান, ছোট ভাই মোকলেছুর রহমান, বাবা আবুল কাসেমসহ পরিবারের সব সদস্য।

মোতাহারের নিথর মরদেহ যখন বাড়িতে পৌঁছায়, ততক্ষণে ঈদ জামাতে মিলিত হওয়া মুসল্লিরাও মুস্তাফিজদের বাড়ি এসে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। ম্লান হয়ে গেছে ঈদ আনন্দ।

 

 

Print Friendly

Related Posts