সোমবার শুরু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফুটবল টুর্নামেন্ট

বিডিমেট্রোনিউজ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও কিশোরদের নানা অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ব্র্যান্ড ওয়ালটনের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে ফুটবল টুর্নামেন্ট।

তারই ধারাবাহিকতায় এবারও ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত হতে যাচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট। মূলত এটি সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ফুটবল ঈদ আনন্দ উৎসব।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ১১ ও ১২ জুলাই পল্টন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ঈদ আনন্দে সামিল করতে ওয়ালটন গ্রুপ স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় এই আয়োজন করতে যাচ্ছে।

এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আজ রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), এজিএম মেহরাব হোসেন আসিফ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক ও ওয়ালটন সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়কারী মো. ইয়াহিয়া, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১২টি দলের ম্যানেজার ও অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এবার ১২টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। ১১ জুলাই সকালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হবে। ১২ জুলাই বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ৮ হাজার ও রানার আপ দল ৪ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও ট্রফি পাবে। প্রত্যেকটি দলকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়কে ১ হাজার করে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। প্রত্যেক দলকে ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে জার্সি ও বল দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘গেল বছর থেকে পথহারা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহযোগিতা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও এই টুর্নামেন্টে পৃষ্ঠপোষকতা করেছি। ঈদের আগেই এই টুর্নামেন্ট করার চেষ্টা করেছিলাম। বিভিন্ন কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এখন ঈদ পুর্নমিলনী ফুটবল আনন্দ উৎসব হিসেবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আসলে এতোগুলো খেলোয়াড় খুঁজে বের করা, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা, দল গঠন করা সহজ কাজ নয়। আমাদের বিশ্বাস এই টুর্নামেন্ট নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হলে এই সব পথ শিশুদের মধ্যে যেসব নানা অপরাধমূলক কাজের প্রবণতা রয়েছে তা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এক সময় তারাও সমাজে সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে। আমি এই টুর্নামেন্টের সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করছি।’

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts