বিডিমেট্রোনিউজ॥ সেবা খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও মনগড়া উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। তারা বলছে, মাত্র ৪৮০ জন লোকের সাক্ষাত্কারের ওপর ভিত্তি করে যে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে, সেটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবার অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এ অধিদফতরের কার্যপরিধি সম্পর্কে না জেনেই আমাদের তথা বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রয়াস চালিয়েছে টিআইবি।’
২৯ জুন ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০১৫’ শিরোনামের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে। পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়াগুলোতে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে।
এ সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে সেবা গ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশই বলেছেন, তাঁদের ঘুষ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য অনিয়মের মধ্যে সময়ক্ষেপণ, প্রতারণা, স্বজনপ্রীতি ও আত্মসাতের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন সেবাগ্রহীতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ রেজওয়ান জানান, ১১ জুলাই টিআইবির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রতিবেদনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে টিআইবিকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘টিআইবির জরিপটি করা হয়েছে ১৫ হাজার পরিবার বা খানার ওপর। তারা ৩ দশমিক ২ শতাংশ অর্থাত্ ৪৮০ জন পাসপোর্ট নিয়ে ভোগান্তির কথা বলেছেন। অথচ আমরা এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ পাসপোর্ট দিয়েছি। মাত্র ৪৮০ জনের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে একটি পুরো খাত বা বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা কতটা সমীচীন।’
মাসুদ রেজওয়ান আরও বলেন, ‘আমরা টিআইবিকে বলেছি, পাসপোর্ট তৈরির সঙ্গে পুলিশ ভেরিফিকেশন, ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া, কাগজপত্র সত্যায়ন, জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহসহ আরও অনেক বিষয় জড়িত। আমার অফিসের বাইরে যেসব বিষয় নিয়ে দুর্ভোগ বা ভোগান্তি, তার দায় অধিদপ্তরের ওপর কোনোভাবেই বর্তায় না।’