বিডিমেট্রোনিউজ॥ বুধবার, ২০ জুলাই লেখক, কবি ও সাংবাদিক ফরিদা আখতার খানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এ দিনে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি। মানিকগঞ্জের চারিগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ও সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা গোলাম রাজ্জাক খান, চাচা কবি খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন।
বাংলাসাহিত্যে স্নাতকোত্তর ফরিদা আখতার খানের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়েছিল সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার মাধ্যমে। কাজ করেছেন দৈনিক নব অভিযান, রূপালী, লালসবুজ, মুক্তকণ্ঠের ফিচার বিভাগে। প্রদায়ক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা, চিত্রালী, পূর্বাণী, পাক্ষিক যোগাযোগবার্তসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। যুক্ত ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। কাজ করেছেন বার্তা সংস্থা ইউএনবি-এর সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংবাদ বিভাগে। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক ডেসটিনি।
কাব্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, লেখালেখি, সাংবাদিকতায় ব্যস্ত থেকেও পরিবারে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। দেশ স্বাধীন করে এসে আততায়ীদের হাতে নিহত হন তার ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান, যিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এর অল্প কিছুদিন আগে বাবাও মৃত্যুবরণ করেন। বাবা আর ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে সংসারে মা এবং ছোট দুই ভাইবোনকে ছায়ার মতো আগলে রাখায় বিয়ের পিঁড়িতে পা রাখেননি তিনি।
ফরিদা আখতার খানের আত্মার প্রতি মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার ছোট বোন দিলরুবা খান এবং ভাই শাহেদুর রহমান খান ইমরোজ।
