হাওয়া বদলের দারুণ জায়গা ‘গিরিডি’

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক মেইন লাইনে গিরিডির রেল সংযোগকারী স্টেশন ৩৭ কিমি দূরের মধুপুর। সারা পশ্চিমের মতো গিরিডিতেও চেঞ্জারবাবুদের আনন্দ নিকেতন গড়ে উঠেছিল রেল স্টেশন থেকে ২ কিমি দূরের বারগান্ডায়। বাঙালি উপনিবেশ নতুন বারগান্ডায়। শ্রীমাতৃ নিকেতন অর্থাৎ সারদেশ্বরী আশ্রমের ডাইনে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের মহুয়ায় শ্রীরামকৃষ্ণ মহিলা বিদ্যালয় রয়েছে। নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে উশ্রী নদী। অদূরে খান্ডোলি পাহাড়। তার নিচুতে বাঁধের জলে অতীতের শিরশিরা ঝিল, পানীয় জল আসছে শহরে। বোটিং-ও করা যেতে পারে। লাগোয়া শিশু উদ্যান।

parasnath1
পরেশনাথ পাহাড়

রবীন্দ্রনাথ সহ বহু বিখ্যাত মানুষের স্মৃতিধন্য অতীত আজ লোপ পেলেও, কিছু চিহ্ন আজও রয়েছে। স্যার জগদীশচন্দ্রও হাওয়া বদল করতে আসতেন গিরিডির শান্তিনিবাসে। এমনকী ১৯৩৭ সালে এই বিজ্ঞানী মারাও যান এই বাড়িতেই।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গিরিডি জেলার সদরও এই গিরিডি। অভ্র, তামা ও কয়লায় সমৃদ্ধ গিরিডির মিষ্টি জল ও মধুর বাতাস আজও অক্টোবর থেকে মার্চে চেঞ্জারবাবুদের স্বপ্নমেদুর করে তোলে। শহর আর ঘিঞ্জি হচ্ছে, প্রসারিত হচ্ছে, তবু দূর দূর থেকে স্বাস্থ্যোদ্ধারে আসা মানুষের কমতি নেই। শহর থেকে ধানবাদ কুলটি সড়কে ৭ কিমি গিয়ে ডাইনে আর ৪ কিমি গেলে গিরিডির অন্যতম আকর্ষণ উশ্রী ফল্‌স। বহুদূরে পরেশনাথ পাহাড়ের মাথায় পরেশনাথ মন্দিরও দৃশ্যমান। শান্ত পাহাড়ি নদীর জলপাথর খণ্ডের ঘাত প্রতিঘাতে দুর্দম বেগে নামছে ৩টি ধারায়। বর্ষায় গতি বাড়ে আর শীতে বাড়ে যাত্রী। ভিউ পয়েন্ট থেকে নেমে বামহাতি পথে দেখে নেওয়া যায় উচ্ছলতা। রয়েছে ২৪ কিমি দূরে অতীতের কারমাটার, বর্তমানে নাম হয়েছে বিদ্যাসাগর।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শেষ জীবনে এখানেই বাস করেছিলেন। নন্দনকাননে মেয়েদের স্কুল হয়েছে। অনুমতি পেলে দেখে নেওয়া যায় সেটিও।

গিরিডি থেকে ৩৮ কিমি দূরে জৈনতীর্থ পরেশনাথ পাহাড়ও দেখে নেওয়া যেতে পারে। উৎসাহীরা পরেশনাথের পথে তোপচাঁচি লেকটিও দেখে নিতে পারেন। গিরিডি থেকে ট্যাক্সি নিয়ে উশ্রী, পরেশনাথ, তোপচাঁচিও দেখে নেওয়া যায়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts