মেট্রো নিউজ : দেশে ভবিষ্যতের জ্বালানির চাহিদা মোকাবেলার জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদ্যমান গ্যাস, তেল ও কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থায় তরলীকৃত গ্যাস আমদানি এবং স্থানীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধানের প্রতি জোর দিচ্ছে সরকার।
এখানে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে শনিবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতের জ্বালানির চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার স্থানীয় উৎস থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এই অন্বেষণ হবে প্রকৃতি রক্ষা করে, পানি ব্যবস্থাপনা ঠিক রেখে এবং কৃষি জমির কোনো ক্ষতি না করে।
তিনি বলেন, আমরা অনুকূল প্রক্রিয়ার কর্মকান্ড চালিয়ে যাবো যাতে করে কোনো বিকল্প হাত ছাড়া করতে না হয়, এতে করে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবো।
সরকারি জমি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট দুই বা আড়াই বছরের মধ্যে সমাধান করা হবে যদি গৃহীত প্রকল্প সরকারের সময় সীমার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত গ্যাসের দাম নির্ণয়র জন্য একটি দল কাজ করছে এবং সরকারেরও গ্যাস আমদানি ও সরবরাহের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি সম্পর্কে গ্যাস ব্যবহারের কার্যবিধি প্রস্তুত করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস বিতরণ ও গ্যাসের দাম নিরূপণ জন্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করতে হবে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির বিশেষ লক্ষ্য পূরণের জন্য গ্যাসের চাহিদা দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ম তামিম, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সেলিম মাহমুদ, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম ও জামিল আহমদ, সিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, নারী উদ্যোক্তা ও এফবিসিসিআই নেতা মনোয়ারা হাকিম আলী, জ্বালানি প্রতিবেদক শাহেদ সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ফোরামের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মামুন আবদুল্লাহ।