বিডি মেট্রো নিউজ ।। ডায়াবেটিস হলে পেয়ারা খান বেশি বেশি। কারণ, ডায়াবেটিস থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, হার্ট থেকে ব্রেনের খেয়াল রাখে পেয়ারা। কমায় ক্যানসারের ঝুঁকিও। জেনে নিন পেয়ারার এমনই এক ডজন গুণ।
পেয়ারা রোগ প্রতিরোধক- পেয়ারার প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পেয়ারার ভিটামিন সি ও পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দরকারী উপকরণ ফাইবার পেয়ারায় বেশি, রয়েছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম মাত্রায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারা। আবার হার্ট সুস্থ রাখতে শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম ব্যালান্স ঠিক রেখে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারা। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে রোজ একটা করে পেয়ারা অবশ্যই খান। এ ছাড়া দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে পেয়ারা অব্যর্থ। গাজরের মতো ভিটামিন এ-তে ভরপুর না হলেও পেয়ারা খেলে চোখ ভাল থাকে। গর্ভাবস্থায়- পেয়ারায় থাকা ভিটামিন বি-৯ ও ফলিক অ্যাসিড গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুর বিকাশে সাহায্য করে।
সর্দি কাশিতেও পেয়ারা কাজ করে দারুণ- ভিটামিন সি ও আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে ডাঁসা পেয়ারা গলা, ফুসফুসে জমে থাকা কফ সারাতে সাহায্য করে। পেয়ারার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ দারুণ। ফলে জীবাণুর মোকাবিলা করে দাঁত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ফোলা মাড়ি বা মুখের আলসারেও ভাল কাজ করে পেয়ারা।
ব্রেন পরিচর্যায়ও পেয়ারা খান। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন বি থ্রি ও বি সিক্স। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে। স্ট্রেস দূর করতেও কাজ করবে পেয়ারা। অনেক গুণের মধ্যে পেশির শিথিলতা বাড়িয়ে রিল্যাক্স করতেও সাহায্য করে পেয়ারা। শরীরচর্চা বা কাজের পর পেয়ারা খেলে তাই স্ট্রেস দূর হবে সহজে।
পেয়ারার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে- পেয়ারা হজম ক্ষমতা যেমন বাড়ায় তেমনই কমলা, আপেল, আঙুরের মতো ফলের থেকে পেয়ারায় গ্লুকোজের পরিমাণও কম থাকে। ফলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে পেয়ারা।