বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা বছর৷ ২০১৩ সালের ৩রা জুন মারা যান বলি অভিনেত্রী জিয়া খান৷ গত বছর ডিসেম্বরে জিয়ার বয়ফ্রেন্ড সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলে CBI। তবে এবার সামনে এল জিয়া খানের মৃত্যুরহস্যে নয়া মোড়। মৃত্যুর পর জিয়ার মুখ ও গলায় যে দাগ পাওয়া গেছে, তা থেকে ব্রিটেনের এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা নয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি তাঁদের একজন রিপোর্টও পেশ করেছেন।
জিয়ার মা রাবিয়া, সেই সময়ের ফরেন্সিক রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই তিনি ব্রিটেনের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ পায়েন-জেমসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, যাবতীয় ছবি ও CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। তারপর রিপোর্ট প্রকাশ করেন তাঁরা।
জিয়ার নিচের ঠোঁটে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। আগে যখন এদেশের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জিয়ার দেহ পরীক্ষা করেন, তাঁরা জানান আত্মহত্যার সময় দাঁতের ঘষা লেগে ঠোঁটে ওই দাগ হয়। কিন্তু পায়েন-জেমসের মতে, আত্মহত্যার সময় নয়। ওই দাগ আগেই হয়। জিয়ার মুখে কোনও শক্ত জিনিস দিয়ে আঘাত করার ফলেই ওই দাগ হয় বলে তাঁর মত। হাতে পারে জিয়ার ঠোঁটে ঘুষি মারা বা মুখের উপর হাত দিয়ে জোরে চেপে ধরার কারণে ওই দাগের উৎপত্তি। তবে দাঁতের চাপের দাগ কিছুতেই নয়।
পায়েন-জেমসের মতে, ওড়না কখনও ওইরকম দাগ তৈরি করতে পারে না। ওড়নার উপর যদি চাপ পড়ে, তাহলে স্পষ্ট ফাঁসের দাগ দেখা যাবে। কিন্তু, জিয়ার ঘাড়ে যে দাগ পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ফাঁসের দাগ মেলে না। জিয়ার নিচের চোয়ালে যে দাগ পাওয়া গেছে ব্রিটিশ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ওড়না দিয়ে ওই ধরনের দাগ চোয়ালে হতে পারে না। আবার এও হতে পারে ফাঁসের বস্তুটি ধাতব ছিল। এমনই নানান রকম ধোঁয়াশা তৈরা হয়েছে জিয়ার মৃত্যু নিয়ে৷