যে আঁধারে ডুবে আছি
যে আঁধারে ডুবে আছি
তার উচ্চতা টাম্পাকো কারখানার সমান।
যার উর্ধ্বঅধঃ পেরুতে চিৎকার করতো-
শ্রমিকের ঘাম রুদ্ধশ্বাস আবর্জনার নদ আর বদ্ধ তাপক।
কে-না জানে, একমাত্র আগুনই তাপের অনুপূরক
আর আগুনের অনুপূরক দাহ্য আবর্জিত বস্তুগুলোর চরম বিশৃঙ্খলা।
তেমন ভাবে আগুনের ক্ষেত্র তৈরী ছিল
তেমন দুর্ধর তাপে শক্তি হারালো বয়স্ক বয়লার;
তারপর যা ঘটলো-ভাববার নয়
প্রচ- বিষ্ফোরণ আমাদের চেতনায় আবারও শুকোতে দিল
অনেকগুলো লাশ আর বহিৃদগ্ধ শোকাবহ জীবন।
যে আঁধারে ডুবে আছি সে আমাদের পূঁজিবাদী বিশ্বের লাবণ্য-লালসার অশেষ আঁধার।
ফুটপাতের শীত চিত্র
‘জোরছে চাপি ধর
শরীলত গলাই লে
জার বিদিচ্ছে হাড়ে
হামার ন্যাপ তোষক কম্বল-তুই রে মাও।’
পোষ-মাঘের শীত বলে কথা
দেশ-জনপথ হীমঘর করে
সবখানে হীম আর হীম নামে
রেল-বাসের কংক্রীটের ফুটপাতও হীম
পথশিশু পথমা ঘুমাবে কোথায়
কোথা পাবে তৃপ্তির ওম
পরণে তেনাকাপড়
বিছানাও ছালাচট ছেঁড়া কাঁথার
তবুও বুকভরা স্বপ্নআগুন
বেঁচে থাকার তীব্র আশা জ্বলে।
রাতভর মা-ছেলের শীতকাঁপাকাঁপি
রক্তের মমতায় তুমুল জড়াজড়ি।
আজীবন বটবৃক্ষ সবুজেসম্ভবে
(কবি সৈয়দ শামসুল হক এর প্রতি)
যৌবনে ভালো থাকে বটবৃক্ষ
আজীবন সবুজেসম্ভাবে ঢেকে রাখে বার্ধক্য।
কখনো বয়স ও ঝড়ে মৃতপ্রায় হয়েও ডালেডালে
নতুন ভাবে
নতুন পাতায়
প্রকাশ করে সুন্দর যৌবন জন্ম কর্ম অধিকার জীবন।
তার ভাব ভাষা যেন-এই মাটির সন্তান আমি
মাটিকে ঘিরে গড়েছি আলো ছায়া রোদের বাগান
এ আনন্দনগর কেন ছেড়ে যাব?
ঝড় বয়স যত রোগ পরাজিত হও
মাটি মানুষকে পৃথিবী অবধি ছায়া দেব কায়া দেব আমি।
তারা যে আমার প্রাণ শক্তি সাহস যুদ্ধ সংগ্রাম স্বাধীনতা আর
জননী জন্মভূমি স্বর্গস্থান।
১২.০৯.১৬