[] ক্রমশ শিল্পের কাছে হেঁটে আমি বড় নষ্ট বড় দগ্ধ
বিলণ্নতার প্রলেপে ভিজিয়ে দিয়েছে আমাকে গভীর
শিল্প সেতো ভয়ংকর সুন্দর নিজেকে চেনে না সুগন্ধী পাপ
এ পথ কঠিনকে করেনা সহজ সুন্দর শোভন
এ পথ কঠিনকে করে আরও অধিক রহস্যময় প্যাঁচানো
দূর থেকে দূরে অস্পষ্ট কুয়াশা থেকে ক্রমশ গভীরতম
অন্ধকারে শিল্পের প্রচণ্ড ব্যাপ্তি অন্ধকারে বৃথা কাকুতি-মিনতি
শিল্পের সৌন্দর্য নির্মাণে হৃদয় খুঁড়ে খুঁড়ে
আরও অধিক যন্ত্রণা অবিশ্বাসের বৃন্তহীন বৃক্ষ
শিল্পের সৌন্দর্য নির্মাণে সিলভিয়া প্লাথ বিষাক্ত বিদগ্ধ
আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুর শিল্পকে নিজেই করেছ উপার্জন
তবু মুক্তি পেলে না পেলে না কতোটা দ্বিধায় ভালবাসাহীন
শিল্প তোমাকে জানালো বিদায় জানোনি কখনো কতোটা
কষ্ট বুকের পাঁজরে পেইন্টিংয়ে আঁকা ছবি
রয়েছে সোনার বাক্সে বন্দী, অভিশপ্ত শিল্প
তোমাকে বাঁচাতে যেয়ে আমি নিজেই অসীম
গ্লানিতে বিষাদে ধুকে ধুকে মৃত্যুর ধূসর মঞ্চে
পশ্চাৎ মৃত্যুর ভূমিকায় উপনীত, তুমি আমাকে
তিল তিল করে হত্যা করে চলেছ, নিষ্ঠুর দানবের
মতোন অষ্টপ্রহর আমাকে কাঁদায়
নিষিদ্ধ তৈজস মৃত্যুর বিশ্বাসী রাত
চেয়েছি শিল্পকে ছেড়ে দিতে বহুবার, শিল্প
ছাড়েনি শংকিত চিতা ভালবাসায় সবুজ ব্যথা
আজন্ম আমার পাপ নীরবে নিভৃতে বোবা কান্না
ঘুমন্ত পৃথিবী হয়ে ভালকান সেখান থেকে বহুদূর
জানার পরোক্ষে শুধু ঢেউ শুধু আলো
অসহ্য ক্লান্তিতে কষ্টে বেদনায় নীল হয়ে
আমার বাদামী রংয়ের লিঙ্গের কাছে
নতজানু হয়েছি এবং
প্রার্থনা করেছি শীতল মৃত্যুর
ঝাঁক ঝাঁক মৃত্যু ছেঁকে ধরেছে আমাকে
তবু আমি বেঁচে আছি
পুরানো দেয়ালে ডিস্টেম্পার পালিশের মতো…
দানব
[] কুরে কুরে খাচ্ছে এক ঝাঁক দানব
আমার ভেতরে অহর্নিশ
ক্রমাগত ধুকে ধুকে মৃত্যুর মঞ্চে এগিয়ে যাওয়া
যখনই ট্রেন লাইন পার হতে যাই
মনে হয় ক্রসিং বেরিকেড অতিদ্রুত
নেমে আসছে মাথার ওপর
চৌচির হয়ে গেছে করোটি
অসংখ্য কাক তরতাজা ঘিলু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে
ঢং ঢং আওয়াজ তুলে হৃদপিন্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়
দানবেরা ঝাঁকে ঝাঁকে তবুও বিরামহীন
অশান্ত,কেবলই প্রখর…