বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাজ্য সরকার নোবেল চুরিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করতেই বড়সড় সাফল্য মিলল৷ শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সিপিএম নেতা৷ তিনি আবার সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন৷
শুক্রবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে বোলপুর থেকে ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ শান্তিনিকেতনে প্রথমবার পা রেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফেরত দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর নোবেল চুরুর তদন্তে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে পুলিশ। চুরির তদন্তে সিবিআই হাল ছাড়লেও হাল ছাড়তে চাননি তৃনমূল সুপ্রিমো। তাই নোবেল চুরির তদন্তে নয়া “সিট” গঠন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন সিপি রাজীব কুমার।
এছাড়াও সিটের এই দলকে নেতৃত্ব দেবেন এডিজি(এসআইডি) রাজেশ কুমার ও সিআইডি ২ জাভেদ শামিম৷ জানা গিয়েছে, ধৃত সিপিএম নেতাকে জেরা করে আরও তথ্য জানতে চাইছে পুলিশ৷
২০০৪ সালের ২৫ মার্চ শান্তিনিকেতন থেকে রবিঠাকুরের নোবেল পুরস্কারের পদক, মানপত্র ও রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত বেশকিছু সামগ্রী বিশ্বভারতীর মিউজিয়াম থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়৷ চুরি হয়ে যায় কবিগুরুর সোনার পকেট ঘড়ি , তাঁর মৃণালিনী-দেবীর বালুচরি শাড়ি , দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার করা সোনার আংটি ও বিভিন্ন ধরনের রুপোর অলঙ্কারসহ মোট ৪৩টি সামগ্রী৷
ঘটনার গুরুত্ব বুধে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার নিজের ঘার থেকে দ্বায় এড়িয়ে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত-ভার তুলে দেয়৷ ২৬ মার্চ বিশ্বভারতী আসে সিবিআই৷ ২৮ মার্চ কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়৷ আদালতের চাপে পড়ে ও দেশের সম্মান বাঁচাতে তদন্তে ঝাঁপায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ শুরু হয় তদন্ত৷
দীর্ঘ তদন্তের পক নোবেলের সন্ধান দিতে পারেনি সিবিআই৷ দীর্ঘ চার বছর পর ২০০৮ সালে নোবেল চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট৷ যদিও পরে জানা যায় , সেই খবর ভুয়ো৷ ২০০৫ সালে সুইডেনের নোবেল ফাউন্ডেশনের তরফে পদকের একটি রেপ্লিকা বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ দীর্ঘ তদন্তের পর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সূত্রের অভাবে মমালা ‘ক্লোজ’ করা দেওয়া হয়৷