ড. হোসেন জিল্লুরকে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

মো. নাঈম হোসেন, পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের পটুয়াখালী জেলাকে ব্যঙ্গকরে বক্তব্য দেয়া ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে ডিগ্রী কলেজের চেয়ে নিচু বলার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পবিপ্রবি ক্যাম্পাস।

সোমবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন করে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ একাত্মতা প্রকাশ করে।
পরে দুপুর সাড়ে ১১ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

pstu-news-pic-01

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ছাত্র মো. নাঈম হোসেনের সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র রায়, বিএএম অনুষদের শিক্ষার্থী রাফী, হিমেল, পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শাহারিয়ার মিল্টন, সহসভাপতি প্রতাপ চন্দ্র, শুভ সাহা, সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ রিমন ও সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস। বক্তরা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে সাত দিন সময় বেধে দিয়ে বলেন অন্যথায় আরও বৃহৎ কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

এদিকে তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামসুদ্দীন ও প্রফেসর ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের পক্ষথেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্ব^র বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও আগামীর ভাবনা নিয়ে ‘এজেন্ডা ২০৩০ : শিক্ষার নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক সেমিনারে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক নেতারা প্রতিটি গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় করে ফেলতে চাচ্ছেন, করেও ফেলেছেন। আপনি যদি পটুয়াখালি যান সেখানেও সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু এখানে শুধু নামটাই আকর্ষণীয়। বাস্তবতা হলো ডিগ্রি কলেজের থেকেও এটার অবস্থা দুর্বল।

Print Friendly

Related Posts