বিডি মেট্রোনিউজ ।। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন ’৯০-এর পরে রাজনৈতিক কারণে শত সহস্র মানুষ জীবন হারালেও তাদের শহীদ বলা হয়না, তাদের নামে কোনো স্মৃতির মিনার হয়না, চত্ত্বর হয়না। অথচ মিলন-নূর হোসেন নিয়ে কত কথাই বলা হয়।খবর বিজ্ঞপ্তির।
তিনি বলেন, মিলন-নূর হোসেন হত্যার তদন্ত হোক- বিচার হোক। আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি- তাহলে মিলন-নূর হোসেন হত্যার তদন্ত করে বিচার করবো। কারণ নূর হোসেনকে কে বা কারা সাজিয়ে দিয়েছে- কে তার বুকে-পিঠে লিখে দিয়েছে- তাদের সহ পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করা হবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ আজ সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, দলীয় সংসদ সদস্য, পার্টির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমিই প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। এই শহীদের আত্মা তখনই শান্তি পাবে যখন এদেশে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, দেশের মানুষ শান্তি-নিরাপত্তায় বাস করবে, এদেশ থেকে হিংসা-হানাহানি দূর হবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
এইচ.এম. এরশাদ বলেন, আমার শাসনামলে আন্দোলন গড়ার জন্য লাশ বানানো হয়েছিল। কোনো সরকারের ক্ষমতায় থাকার জন্য নূর হোসেনের মতো একজন মানুষ মারার প্রয়োজন হয়না। এভাবে যাদের শহীদ বানানো হয়েছে তাদের নাম হয়তো মনে রাখা যাবে। কারণ, এদের সংখ্যা মাত্র কয়েকজন। কিন্তু ’৯০-এর পর অসংখ্য মানুষ রাজনৈতিক কারণে জীবন হারিয়েছে। সেই সব শত সহস্র শহীদের নাম মনে রাখবেন কীভাবে? কিন্তু তাদের রক্তও তো ছিল লাল। তাদের জীবনের কী কোনো মূল্য নাই? এদের নামেও দিবস পালন করা হোক- তাদের জন্য চত্ত্বর হোক।