বিডি মেট্রোনিউজ || অনলাইনে বেতন-ভাতা ও পেনশন নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর আর কোনো প্রয়োজন নেই। নতুন বেতন কাঠামোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা বলা রয়েছে। ফলে এটা আর কখনই হবে না।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরের আলাদা বেতন হয়, সেটা তো আলাদা থাকবেই। বাকি কারো জন্য (স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর) কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।
অনলাইনে বেতন-ভাতা নির্ধারণ পদ্ধতি শুরুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলদেশ নির্মাণে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পদক্ষেপ। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ধারা অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ থেকে ১০ শতাংশ হওয়া দরকার। এবং সেটা খুব শিগগিরই সম্ভব হবে। আজকে যে পরিবর্তনটা হল এক হিসেবে বলা যায় এটা ২৬৮ বছরের পরিবর্তন। ১৯০ বছর ছিল ব্রিটিশ শাসন, ২৩ বছর ছিল পাকিস্তানের শাসন আর ৪৫ বছর আমাদের। ২৬৮ বছর পেরিয়ে বড় একটা পরিবর্তন হল। যে কেউ অনলাইনে গিয়ে ফরম পূরণ করে তার বেতন ও পেনশন নিজেই নির্ধারণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে সরকারি-কর্মকর্তা কর্মচারীদের হয়রানি কমবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পেনশন এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদের নতুন স্কেল অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করে দেখানো হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, স্থানীয় সরকার সচিব আব্দুল মালেক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ বেতন (গ্রেড-১) ৭৮ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) আট হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।