শাহ মতিন টিপু [] দেশে বিশিষ্ট পরমাণুুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।২০০৯ সালের ৯ মে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। রংপুরের পিছিয়ে পড়া এক গ্রামে পীরগঞ্জের ফতেপুরে এই মেধাবী বিজ্ঞানীর জন্ম,। ডাক নাম তার সুধা মিয়া। এই সাদাসিধে ছেলেটিই বড় হয়ে দেশের অন্যতম একজন আনবিক বিজ্ঞানী হিসেবে নাম কুড়ালো। আরো অবাক করা ব্যাপার সে বড় হয়ে হলো জাতির জনকের জামাতা। সবই হলো তার শিক্ষা ও মেধার গুণে।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া নিজস্ব যোগ্যতার বলেই পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানকে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের রূপপুরে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা, দেশের বিজ্ঞানীদের পেশাগত কাজের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ করা। দেশের বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে তার অবদান অবিস্মরণীয়।
সহজ, সরল, মেধাবী, সদা সত্যভাষী এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় অনন্য এই মানুষটিকে কন্যা শেখ হাসিনার স্বামী হিসাবে পছন্দ করেন বঙ্গবন্ধু। তাদের বিয়ে হয় ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর। ওয়াজেদ মিয়া-শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আইটির উন্নয়নে এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-’৬২ শিক্ষাবর্ষে হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন।
১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে পদস্থ করা হয়।
আজ বাস্তবায়নের পথে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বলা যায়, এটা অনেক বড় এক স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন।
রাইজিংবিডি থেকে