আতাতুর্ক কামাল পাশা || সে আমাদের ছেলে। পাড়াগাঁর ছেলে। সে আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। নাম এস এম সিজান। তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হবে এমন স্বপ্ন বুকে লালন করছে মাত্র ২২ বছর বয়সে। প্রযুক্তি নিরাপত্তার কাজে তার যোগ্যতার স্বাক্ষর ইতোমধ্যে সে অনেক স্থানে রাখতে পেরেছে।
ছেলেবেলা থেকেই সে বেশ মেধাবান ছিল। কৈশোরে সে পিএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। তারুণ্যে এসেও সে জিএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এসএসসিতে গোল্ডেন ফাইভ পায়। এইচএসসিতে তার অর্জন ৪.৮০। বর্তমানে সে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে অনার্স করছে।
এস এম সিজান বিশ্বাস করে তথ্য প্রযুক্তিতে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ তথ্য প্রযুক্তির উন্নতিতে দেশ বিশ্বের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি করতে পেরেছে। আমাদের সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে সাইবার প্রযুক্তিতে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিতে চান তার অনেক সুফল আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি।
আজ পাসপোর্টের দরখাস্ত করে কাউকে আর প্রতিদিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ধরনা দিতে হয় না। সমস্ত তথ্য কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণ করা হচ্ছে। আর সমস্ত কাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করতে আমাদের তথ্য প্রযুক্তি দারুণভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তার উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের মেশিন রিডাবল পাসপোর্ট সিস্টেমটি। বর্তমানে দেশের যে কোনো নাগরিকের পরিচয় বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে জানা যায় আমাদের সাইবার সিস্টেমের উন্নতির জন্য।
দেশে সাইবার সিস্টেমের উন্নতির সাথে সাথে এর নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রাখাও জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে সাইবার শক্তির বিশেষ উন্নয়ন সাধন করে বিভিন্ন গুপ্ত পন্থার মাধ্যমে অনেক দেশ অন্য দেশের রাষ্ট্রীয় গোপন গুরুত্বপূর্ণ অনেক দলিল জেনে ফেলেছে। যুদ্ধ পরিকল্পনা, সমরাস্ত্র, গোয়েন্দা সংস্থার গোপন কার্যক্রম, ইত্যাদি বিষয়ে অনেক গোপন তথ্য ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে অনেক রাষ্ট্র। এ কারণে আমাদের সাইবার ব্যবস্থার নিরাপত্তা অপরিহার্য। তাই আমাদের দেশের সাইবার সিস্টেমকে আরও কঠোর নিরাপত্তার মাঝে সুরক্ষিত করা উচিত।
নিজেদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বিশেষ গোপন বিষয়গুলো নিজেদের উদ্ভাবিত সাইবার প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ করা জরুরি। আরও উন্নত সাইবার নিরাপত্তা পদ্ধতি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করা জরুরি। এসব নিয়েই কাজ করতে চায় এস এম সিজান। ইতোমধ্যে সে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সাইবার অপরাধ নির্মূলে যথেষ্ট কাজ করেছে এবং এখনো সে কাজ অব্যাহত রেখেছে।
এ ছাড়াও জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংশোধন করার ক্ষেত্রে এস এম সিজান সরকারের জাতীয় কমিটির কাছে বেশ কিছু প্রস্তাবনা রেখেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠনে একটি সুন্দর পরিকল্পনাও দিয়েছে সে। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে কাজ করে সে খুবই আনন্দ পায়। তার ইচ্ছে, যদি সরকারের কাছ থেকে ভালো কোনো সুযোগ পায় বা দেশে ভালো ও সুন্দর কাজের পরিবেশ পায় তবে আর বিদেশে নয়, এই দেশে থেকেই তথ্য প্রযুক্তিতে আরও ভালো কাজ করে দেশকে উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক বেশি পথ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তার মনোবল পাহাড়ের মতো শক্ত, সে মোটেও হেরে যাওয়ার ছেলে নয়।
আমাদের বিশ্বাস একদিন আমাদের পাড়াগাঁর এই ছেলেটি অনেক বড়ো হবে এবং দেশের সাইবার নিরাপত্তায় অনেক অবদান রাখতে পারবে।