দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায় আর নেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রয়াত নাট্য ব্যক্তিত্ব দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উৎসবের আবহেই বাংলার নাট্য মহলে নামল বিষাদের করুণ সুর৷ গভীর রাতে প্রয়াত হয়েছেন দ্বিজেনবাবু৷ জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল তিনি৷

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।

গত দুই বছর ধরে বর্ষীয়ান এই অভিনেতা অ্যালঝাইমার্সে ভুগছিলেন। বন্ধ করে দিয়েছিলেন কাজকর্ম। বাড়িতেই সময় কাটাতেন তিনি।

১৯৪৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেসি পড়াশোনা শুরু করেন কিন্তু ততদিনে অভিনয়ের নেশা চেপে বসে তার। তাই চাটার্ড অ্যাকাউন্টেসি পড়ার ইতি টানেন দ্বিজেন।

অভিনয়ে হাতেখড়ি মঞ্চে। ১৯৭৮ সালে অভিনয় করেন দেবাশিস মজুমদারের ‘অমিতাক্ষর’ নাটকে। নাটকটি মঞ্চস্থ হয় ন্যাশনাল ড্রামা ফেস্টিভ্যালে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাটকটি প্রদর্শিত হয়। এরপর ‘সমাবর্তন’, ‘অভিমুখ’,‘মল্লভূমি’সহ অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক দশক ধরে মঞ্চে তার অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

নব্বই দশকের গোড়ায় সিরিয়ালের প্রথম যুগে অভিনয় করেন টেলিভিশনেও। টেলিভিশনের তার অভিনীত ‘যখের ধন’, ‘চুনি-পান্না’ সিরিয়াল তুমুল জনপ্রিয় হয়। দ্বিজেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘জাতিস্মর’, ‘যেখানে ভূতের ভয়’, ‘ফড়িং’, পেন্ডুলাম’ প্রভৃতি।

অভিনয়ের পাশাপাশি অধ্যাপনা করেছেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন সেখানকার নাট্যকলা বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার তাঁর মরদেহ প্রথমে আকাডেমি অব ফাইন আর্টসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর অগণিত ভক্তরা৷ তারপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মসানে৷ সেখানেই হবে শেষকৃত্য৷ ১৯৪৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts