বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে বাঙ্গালীর জয়

আখতার-উজ-জামান
বিশ্বের মানচিত্রে বিজয়ের সূর্য উদিত হয়েছিল ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল। আজ আমাদের এই মূল্যবোধ, স্বাধীন, স্বার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক মূল চর্চার এক প্রজ্জ্বলিত ও গৌরবান্বিত মহামানব, যার জ্ঞানের সীমা অসীম, সমুদ্র ঢেউয়ের মতো গর্জনে রাজনৈতিক আত্মহুতি, আকাশে-বাতাসে উচ্চারিত এবং সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের যেই নামটি চিরঞ্জীব; তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী সামরিক জান্তাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬৭ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলেও একটু গুরুত্বপূর্ণ হিসাব তখনও বাকি রয়ে গেছে।  সামরিক জান্তার আক্রমনের খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু তৎক্ষনাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বেতার বার্তার মাধ্যমে  দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন।

তিনি বলেন, This may be my last message, from to-day Bangladesh is Independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh. Final victory is ours.

এরপর রাত ১:১০মি: এ হানাদার বাহিনী সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে অজানা স্থানে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পশ্চিম পাকিস্তানের লায়ালপুর কারাগারে অন্তরীন করে রাখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথম লায়ালপুরের কারাগার থেকে এনে রাখা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে এবং পরে মিয়ানওয়ালি কারাগারে। যার অসীম সাহসের নেতৃত্বকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সেই লড়াকু সৈনিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি তখনও কারাবন্দী ছিল পাকিস্তানের কারাগারে। তখন পাকিস্তানী নরপশুরা পুরোপুরি ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠলো কিভাবে এই জ্ঞানের ভান্ডার আর বাঙ্গালী জাতির অহঙ্কার আজকের এই রূপসী বাংলার মহান নেতাকে মুক্তি; নাকি চিরতরে শেষ করে দেবার অশুভ পরিকল্পনা। বর্বরোচিত পাকিস্তানী মীরজাফররা পাগলের মত হয়ে ওঠে কি করবে বাংলার দামাল ও বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরকে জেলে রেখে। হিংসাত্মক পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রে নাটকীয় ও বানোয়াট ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এই মহান নেতার বিরুদ্ধে।

এদিকে পাকিস্তানেও আমাদের এই মহান নেতার পক্ষে সমর্থন বাড়তে শুরু করেছে। এর আগে নভেম্বরে ৫২ জন পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী মুজিবের মুক্তি চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, এবার সেদেশের কয়েকটি সংবাদপত্রও একই দাবি জানালো, এর মধ্যে ছিল ডন এবং জং এর মত পত্রিকা। ২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সেই নরপশু ইয়াহিয়ার একটি বক্তব্য – মুজিব (বাংলার বাঘ) সুস্থ আছেন।

সাহসী মানুষটির নেতৃত্বে এই মাতৃভূমিকে টিকিয়ে রাখার জন্য আজ আমরা বলতে পারি মহান বিজয়ের মাস, স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যের নতুন আলিঙ্গন। যদিও দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার শিক্ষক, কবি, লেখক, সাহিত্যিকসহ ৩০ লাখ আপম জনতার রক্তে অর্জিত হয়েছে আজকের এই বাংলাদেশ। হে বঙ্গবন্ধু- তুমি সত্যি-ই এক বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর; যিনি বাংলার মাটি ও মানুষের নেতা। তুমি তো ৪৪ বছরের ইতিহাসে আজও বেঁচে আছো বাংলার অকৃত্রিম মানুষের ভালবাসায়।

১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের এক সরকারী মুখপাত্র মারফত জানা গেল বাংলার মহান নেতা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের (ঐ সরকারী মুখপাত্রের চোখে মুজিব, কিন্তু আমার মত তরুণ প্রজন্মের চোখে কখনও ছোট নামে ডাকা সম্ভব নয়; হউক সেটি তখনকার খন্ড খন্ড ইতিহাসে লেখা; তাই এই মহান নেতার নামটি ঐভাবে সম্বোধন করলাম) বিচার শেষ হয়েছে,তবে রায় দেয়া হয়নি এখনো। পাকিস্তানের নরপশুরা নাকি আবার এই সাদা মনের দেশপ্রেমী মানুষটিকে ১৫ ডিসেম্বরই ফাঁসির আদেশ দেয়ার পরিকল্পনা করছিল, তারা আবার নাকি কবরও খুঁড়িয়েছে তার  সেলেরই সামনে। ঠিক এমন সময়ে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয় এই মহান নেতার মুক্তির ব্যাপারে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একটি চিঠি পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কাছে, সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবেই রাখা হয় বাঙ্গালী জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের মুক্তির বিষয়টিকে। অন্যদিকে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর, নতুন  প্রেসিডেন্ট হয়েছে জুলফিকার আলী ভুট্টো। তবে নাটক  তখনও শেষ হয়নি,২১ ডিসেম্বর ভুট্টো জানাল- বাঙ্গালী এই মহান নেতার মুক্তি এখনই নয়,আগে জনমত যাচাই।

এরপর কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয় বঙ্গবন্ধুকে, রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের পাশের একটি বাড়িতে। বাইরের পৃথিবী থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে মুক্তির ব্যাপারে ভুট্টোর কোন কথা নেই, ২৮ ডিসেম্বর ভুট্টো হঠাৎ মুজিবের সাথে তার সদ্য সাক্ষাতের কথা জানিয়ে বলল,আলোচনা চলছে। এবার বিষয়টি অত নাটকীয়তার দিকে মোড় নিয়েছে, বাংলাদেশ  থেকে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ খুব পরিস্কারভাবে ভুট্টোকে জানিয়ে দিলেন, অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে বঙ্গবন্ধুকে। এদিকে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদের পরম মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চরম শত্রু চীন শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

৩ জানুয়ারি,১৯৭২ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো মার্কিন রাষ্ট্রদূত  জোসেফ ফারল্যান্ডের পাঠানো তারবার্তায় জানা যাচ্ছে, ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেদিনই এব্যাপারে ঘোষণা দেয়া হবে। মুজিব সুস্থ আছেন, তার সাথে আলোচনা চলছে। কথামতই ঘোষণা আসে, সেদিনই। একটি জনসমাবেশে ভুট্টো এই  ঘোষণা দিয়ে জনমত জানতে চায়,জনমত মহান নেতার মুক্তির পক্ষেই ছিল।

জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারী ভোররাতে হিসাবে ৮ জানুয়ারী। এদিন এই মহান নেতাকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে।

অবশেষে সব নাটক শেষ হলো বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের খবরে। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নেমেছেন বাঙ্গালী জাতির সেই পথপ্রদর্শক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখান থেকে হোটেল ক্যারিজেসের  প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। এরপর হোটেলেই সংবাদ সম্মেলন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সাথে সাক্ষাৎ। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন। দশ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’

সারা পৃথিবীর মানুষকে বঙ্গবন্ধু জানিয়ে দিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ একটি বাস্তবতা,একে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। সভ্য  দেশগুলোর প্রতি আহবান জানালেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য। গায়ে সাদা শার্ট, ধূসর স্যুট, ধূসর ওভার কোট, চোখে মুখে সেই চিরচেনা লাল সবুজের জয়ের মায়া-জীবিত ও জীবন্ত শেখ মুজিবুর রহমান।

এদিকে বাংলাদেশে বসে অপেক্ষা করছেন আর একটি মানুষ-বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ধৈর্যশীল এই অবলা নারী তাকিয়ে আছেন কখন তার প্রাণের চেয়ে প্রিয় মানুষটি রক্ত ঝরা বাংলার মাটিতে এসে দেশের আপামর জনতার পাশাপাশি নিজের পরিবারের সাথে বুকে বুক মেলাবে। সত্যিই এই আবেগ প্রবণ ত্যাগী আর বুক ভরা ভালোবাসার মানুষটির অবদানের সব খবরই পেয়েছেন তিনি, শেখ মুজিবের পাকিস্তান ত্যাগের খবর জেনেছেন। লন্ডন পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত হবার পর পরই ফোন করলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। লন্ডনে,বাংলাদেশের ঘড়িতে তখন সময় ৫ টা ৫১। কিছুক্ষণ যান্ত্রিক খুটখাট, এরপর সেই বহু প্রতীক্ষিত কন্ঠ – ‘কেমন আছো?’ কিছুক্ষণের জন্য নির্বাক হয়ে রইলেন ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তারপর বললেন,’ দেরি  কোরো না’।

বাংলার এই মহান নেতা ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে  রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।

সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশগড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। একইভাবে জাতির জনকের মানসকন্যা ও বাঙ্গালীর ৪৪ বছরের বিজয়ের নিশানের দেশকে আজ বিশ্বের মানচিত্রে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারাবদ্ধ জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।

তাই পরিশেষে ৭২’র ১০ জানুয়ারীর বিজয় ও স্বাধীন বাংলার হাতে গোনা কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার শিরোনামগুলো বলেই শেষ করলাম আমার, আপনার, আমাদের এই সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলার আনাচে-কানাচে ধ্বণিত কণ্ঠস্বর, পৃথিবীর মানচিত্রে বারংবার যে মানুষটির নাম পদ্মা, মেঘনা, যমুনার অববাহিকায় ভেসে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সত্যিই তুমি বাংলার মহীয়ান।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে কবিতা’ দৈনিক ইত্তেফাক’-এর শিরোনাম ছিল ‘ওই মহামানব আসে, দিকে দিকে রোমাঞ্চ জাগে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতার কী অসাধারণ ব্যবহার ছিল এ শিরোনামে। ‘ইত্তেফাক রিপোর্ট’ হিসেবে  লেখা এ প্রতিবেদনে ছাপা হয় ‘আজ বহু প্রতীক্ষিত সেই শুভদিন।’ সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর অন্তরের অন্তহীন আস্থা ও ভালোবাসা, ত্যাগ-তিতীক্ষার স্বর্ণসিঁড়িতে হাঁটিয়া হাঁটিয়া স্বাধীন বাংলা ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ নয় মাস পরে আবার জননী বাংলার কোলে ফিরিয়া আসিতেছেন। পাক সামরিক জল্লাদের কারাগার তাহাকে ধরিয়া রাখিতে পারে নাই।’ একই দিন ইত্তেফাকের প্রথম পাতার আরেকটি প্রতিবেদনে শিরোনাম ছিল ‘এসো বাংলার স্বাপ্নিক, স্বাগতম’। আরেকটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘অভিনন্দন আছে, পথের দু’ধারে অভ্যর্থনা’।

পুরো পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ছাপা হয় আরো পাঁচটি প্রতিবেদন। সেগুলোর শিরোনাম ছিলথ ‘প্রতীক্ষাকূল শহরবাসী’, ‘আমি সর্বাগ্র গৃহিণী’, ‘আজ ছুটি’, ‘ওকে  চোখে  দেখার আগে কিছুই বলিব না’ ও ‘আজ অপরাহ্ন আড়াইটায়’। ওইদিন ‘সংবাদ’ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর অপেক্ষায় ঢাকা নগরী’। এক কলামের আরেকটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘আকাশবাণী ধারাবিবরণী প্রচার করিবে’

(বিভিন্ন পত্রিকার আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত)
azamansun@yahoo.com

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts