আ.জ.ম সামছুল করিম লাভলু
‘‘যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, আস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-’’
চট্টগ্রামবাসীর আন্দোলন, সংগ্রাম, দূর্যোগ, দূর্দশা, হাসি-কাঁন্না, সুখ-দুঃখ বেদনা সবকিছুর সাথেই যেন মিশে আছে একটি নাম- চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী।
রাউজান থানাধীন গহিরাস্থ ঐতিহ্যবাহী বক্শ আলী চৌধুরী বাড়ীর হোসেন আহম্মদ চৌধুরীর ২য় পুত্র। বাবার আদরের কাউল্লার দূরন্তপনা, আন্দোলন সংগ্রাম আর রাজনৈতিক চর্চা সেই ছোট্ট বেলা থেকে। স্কুল জীবন থেকে বুঝে গেছেন সে শুধু তার নয়! তার জন্মই হয়েছে এই দেশ, এই জাতির জন্য। চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষ তার অঙ্গে-অন্তরে মিশে একাকার।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কলেজ জীবন থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার আর্দশ, প্রেরণা ও চেতনা। সেই ৬ দফা আন্দেলন থেকে শুরু করে বাঙালী জাতির স্বাধিকার আন্দোলনসহ দেশের সংকটময় যে কোন পরিস্থিতিতে তাকে কেউ কখনো দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
১৯৭১ সালে রয়েছে তার বীরত্ব গাঁথার অনেক স্মৃতি। কি নির্মম নির্যাতন তাকে সহ্য করতে হয়েছিল। তা কম বেশী সকলেরই জানা। বহুবার তার বক্তব্য ও বিভিন্ন বইপত্র পড়ে সেই অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর নির্যাতনের সত্য ইতিহাস জেনেছি।
কি সংকট! কি যুদ্ধ! কি সংগ্রাম! কি প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে কোন মুর্হূতে কখনো ঘরে বসে থাকেননি এই সাহসী বীর মহিউদ্দিন। মনে পড়ে সেই একানব্বই-এর ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরি ঘূর্ণিঝড় লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল নদীমাতৃক চট্টগ্রামের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চল। নিহত হয়েছিল শত শত মানুষ। আহত হয়েছে হাজারেরও অধিক। পঁচা গন্ধে ভারি হয়েছিলো বাতাস। সেই দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে, ছুটে গিয়ে বুক উজাড় করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই মহিউদ্দিন। নিজের কাছে ছিলো না তেমন টাকা পয়সা, ছিলো না রাষ্ট্রিয় কোন ক্ষমতা। ছিলো শুধু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছা শক্তি।
নিজ হাতে সেই দিন শত শত লাশ পরম মমতায় গোসল করিয়ে দাফন করেছিলেন এই মহিউদ্দিন। সে সময় আসেনি কোন সরকারী সহযোগিতা।
দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে নিজে দায়িত্ব নিয়ে, দলের কিছু নেতা ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় মাটি কেটে, পাথর ফেলে কর্ণফুলী উপকূলে সেই বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করে ছিলেন। পরবর্তীতে মেয়র হওয়ার পর এর পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করে, চট্টগ্রামবাসীকে ভয়ংকর জ্বলোচ্ছাস থেকে মুক্ত রেখেছেন ।
বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে, তিনি যেসব সাহসী উদ্যোগ নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন, তা অন্য কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব হতো না। ভবিষ্যতে শত বছরে আর একজন মহিউদ্দিন আমাদের মাঝে আসবে, একথা কল্পনাও করা যায় না।
সিটি কর্পোরেশনে একজন মেয়র নির্বাচিত হলে কেউ কেউ তাকে নগর পিতা বলেন। আর এই শব্দটি মেয়র মহিউদ্দিনের ক্ষেত্রে ছিলো যথার্থ। একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন। দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের তুলনায় মেয়র মহিউদ্দিনের সময়ে চট্টগ্রামে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ভবিষতের জন্য উল্লেখ্যযোগ্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর এ শুধু দুরদর্শী চিন্তার ও বলিষ্ঠ নেতৃতের মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে সম্ভব।
টানা ১৭বছর তিনি মেয়র থাকলেও এর মধ্যে বেশীর ভাগ সময় ছিলো রাজনৈতিক বিরোধী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল। সেই সময় সরকারের পক্ষথেকে চট্টগ্রামের জন্য উল্লেখ্যযোগ্য তেমন বাজেট বরাদ্ধ হতো না। বরাদ্ধ হলেও নানা অজুহাতে তা বাস্তবায়ন করা যেত না। চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা ভেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনে অনেক আয়ের উৎস সৃষ্টি করেছেন। সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দেননি। অনেক উন্নয়ন প্রজেক্টের চিন্তা ভাবনা থাকলেও তা বাস্তবায়নের অনুমতি পাননি কোন সরকার থেকে।
বিশাল বুকেরপাটার অধিকারী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে চট্টগ্রামের মানুষ কি পরিমাণ ভালোবাসেন সেই উদাহরণ দিতে গিয়ে মনে পড়ে ১৯৯৬ সালের কথা। তৎকালীন সরকার তাকে গ্রেফতারের পর, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে তার মুক্তির দাবীতে প্রায় এক সাপ্তাহ চট্টগ্রামকে অচল করে রেখেছিলো। বাধ্য হয়ে তাকে মুক্তি দিতে হয়েছিলো।
তার জীবন জুড়ে শুধু একটি স্বপ্ন, এই চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে। অপার সম্ভাবনার এই চট্টগ্রাম একদিন উন্নত বিশ্বের বড় বড় শহরের মতো সমৃদ্ধশালী হবে। চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষ একদিন সাবলম্বী হবে। থাকবে না ক্ষুধা-দারিদ্রতা। শিক্ষা-চিকিৎসা বঞ্চিত হবে না কোন নাগরিক। রাস্তাঘাট হবে নিরাপদ পরিচ্ছন্ন। সেই লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রতিষ্ঠা করেছেন একের পর এক স্বাস্থসেবাকেন্দ্র, হাসপাতাল। করেছেন শিক্ষা বিস্তারের জন্য অসংখ্য স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারণ শিক্ষা কেন্দ্র, কারিগরি ও কম্পিউটার প্রযুক্তির শিক্ষাকেন্দ্র। যা থেকে প্রতি বছর প্রশিক্ষিত হচ্ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সাবলম্বী হয়েছেন অসংখ্য পরিবার।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অতি উচ্চ বিলাসি জীবন যাপন করেননি। ছেলে-মেয়েদেরও গড়ে তুলেছেন সম্পুর্ণ সু-শৃংখল পারিবারিক পরিবেশে। চাইলেই পারতেন তাদের বিদেশে লেখাপড়া করিয়ে পশ্চিমা কালচারে গড়ে তুলতে। কিন্তু তাদেরকেও লেখাপড়া করিয়েছেন নিজের হাতে গড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলতেন ‘আঁর পোয়া-মাইয়া যদি এডে ন পড়ে তাইলে কন পড়িব’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্য যেসকল ছাত্রা-ছাত্রীরা যতটুকু সুবিধা নিতেন, নিজ ছেলে-মেয়েরাও ততটুকু সুবিধা পেতো। তাদের মাঝেও মেয়রের ছেলে-মেয়ে বলে কোন প্রকার সুবিধা কিংবা দাপট দেখিয়েছেন এমন নজির একটিও নেই। এ সম্মন্ধে যারা তাদের সহপাঠি ছিল তারা সবসময় প্রশংসার সাথে বলতে শোনা যায়। তাই আজ ছেলে মেয়েরাও হয়েছে বাবার মত আদর্শিক। মহিউদ্দিন চৌধুরী রাজনৈতিক জীবনে স্থানীয় যে সব মানুষের কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেয়েছেন। যাদের কথা বক্তব্য সেমিনারে সবসময় বলে স্মরণ করেন- তারা হচ্ছেন, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, এম এ হান্নান, এম এ মান্নানসহ অনেকে।
ব্যাক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিলো তাকে, জেল জুলুম অত্যাচার এক সময় তার জীবনের অংশে পরিনত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হারিয়েছেন অনেক প্রিয় সহযোদ্ধা-সাথীকে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে এক সময় রাজপথ ছিল তার আসল ঠিকানা, মিছিল ছিল তার নিত্য দিনের সাথী, শ্লোগান ছিলো তার মুখের ভাষা। আক্রমনের শিকার হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেচেঁ এসেছেন একাধিকবার। আহত হয়েছেন অসংখ্য বার। আততায়ীর ঘাতক বোমা কেড়ে নিয়েছে প্রিয়তম স্ত্রীকে। তার সন্তানরা হয়েছিলো মা হারা। দূরারোগ্যব্যাধি ক্যান্সার কেড়ে নিয়েছে বুক ছেঁড়া ধন আদরের কন্যাসন্তান ফজিয়া সুলতানা টুম্পাকে।
জীবনে কখনো তাকে দেখা যায়নি পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব কষতে। দল তাকে যেই নির্দেশ দিয়েছে তিনি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। অথচ নিয়তির কি অলক্ষ্য নিয়ম! শুধু দলীয় বিরোধী শক্তি নয় নিজ দলের অনেকে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে প্রতি নিয়ত। বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ যেই নেতার হৃদয়জুড়ে তাকে কোন ষড়যন্ত্র পিছু হটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যে কোন সংকট কালে-অনেকের মধ্যে সবার আগে ছুটে আসতেন যিনি তিনি হচ্ছেন এই বীর চট্টলার অবিসংবাদিত নেতা আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
জীবনের শেষ সময়েও প্রতি মুহুর্ত অপেক্ষায় থাকেন দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশ নির্দেশ পালনের। দলহতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বহুবার লোভনীয় পদ-পদবীর অফার আসলেও তিনি চট্টগ্রামের মানুষের কথা ভেবে, তাদের খুবকাছে থাকার কথা ভেবে সেই অফার গ্রহণ করেননি। চট্টগ্রামবাসীর আশা আকাঙ্খার সূতিকাগার মহিউদ্দিন চৌধুরী। রাজনৈতিক সমীকরণে মূল্যায়ন করতে গেলে মহিউদ্দিন চৌধুরী জীবনে একটি ভুলও করেননি তা আমি বলতে পারবো না। কিন্তু তার এই উজ্জ্বল জীবন সাফল্যে ঈর্ষান্বিত, স্বার্থন্বেষী, সুযোগ সন্ধানীরা সব সময় ছিলো তৎপর। অতীত ও বর্তমানের অনেক ক্ষমতাধর নেতার নীতি নৈতিকতার বিচারে মহিউদ্দিন চৌধুরী সারা জীবনে যে ধৈর্য্য, সহমর্মিতা, সাধারণ কর্মী হতে শুরু করে যে কোন মানুষের প্রতি আন্তরিকতা, সহযোগীতা দেখান তা সমাজে বিরল।
চাইলে যে কেউ সহজেই দেখা করতে পারেন এই নেতার সাথে। চট্টগ্রামের যে কোন নাগরিকের সাথে তিনি নিজের আপন সারর্থী সুলভ কথা বলেন। কাউকে বড় কাউকে ছোট কিংবা কাউকে আপন কাউকে পর এমন কখনো কোনদিন বিভেদ করতে দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের পরিচিত-অপরিচিত যার সাথে কথা বলুক না কেন, দেখলে মনে হবে সেই ব্যক্তিটি উনার অতি কাছের একজন। অভিভাবক সুলভ কথা বলতেন ঠিকই কিন্তু কখনো কারো সাথে অহংকার দেখিয়েছেন এ কথা কেউ বলতে পারবে না। যাকে তিনি বেশী ধমক দিয়েছেন পক্ষান্তরে তাকেই বেশি ভালো বেসেছেন।
আজ মহিউদ্দিন চৌধুরী সরাসরি রাষ্ট্রিয় কোন দায়িত্বে আসীন নয়। তবুও থেমে নেই তার স্বপ্নের চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। নিজের যতটুকু সম্ভব শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় এমপি, মন্ত্রীদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নির্দিধায়। আজো তার বাসায় চলমান আছে চিরা-চরিত লঙ্গরখানা। দুপুর হলে কাউকে তিনি না খেয়ে ফিরতে দেন না। সাধ্যমত চলে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ যে কোন মানুষের জন্য আপ্যায়ন ব্যবস্থা। যা বহু অর্থবিত্ত সমৃদ্ধ মানুষের ক্ষেত্রেও বিরল। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষের বিরুদ্ধে যখন কোন ষড়যন্ত্রের আবাস পেয়েছেন লাভ-লোকসান না ভেবে মুহুর্তে জ্বলে উঠেছেন এই জীবন্ত কীংবদন্তী। এই সাহসী বীর আছে বলে চট্টগ্রামে চাঁদাবাজী সন্ত্রাসীর অবাধ বিচরণ নেই। এই সমস্ত বিষয়ে কেউ ছাড় পায়নি আজ পর্যন্ত।
প্রায় ৭৫ বছর বয়সী মহিউদ্দিন চৌধুরীর শরীরে আঘাত ও অসুস্থতার কারণে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে অসংখ্য বার। বাইপাস করতে গিয়ে পায়ের অংশ থেকে কয়েকবার রগ নেওয়ায় পায়ের আঙ্গুলগুলো ভাঁজ করতে পারেন না অনেক দিন থেকে। শুধুমাত্র মানুষের ভালোবাসা ও মনের জোর নিয়ে হাসি মুখে সমস্ত কর্মযজ্ঞ করে যান নিজের কোন কষ্ট প্রকাশ না করে।
গত ১০ তারিখ রাত আনুমানিক ৩টায় গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখান থেকে প্রথমে ঢাকায় পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্ণ সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার্থে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বর্তমানে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। তার অসুস্থতায় সমগ্র দেশবাসী উৎকন্ঠিত। বটবৃক্ষ তুল্য, প্রাণপ্রিয় অভিভাবকহীন নেতা কর্মীরা অশ্রুশিক্ত। নগরজুড়ে প্রতিটি মসজিদ ও উপাসনালয়ে প্রতিদিন করা হচ্ছে তার জন্য দোয়া ও ধর্মীয় উপাসনা। চট্টলাবাসীর হৃদয়ের আরাধনা- কখন সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন, এই অপেক্ষায় যেন মায়ের আঁচল পেতে আছে সমস্ত চট্টগ্রাম।
ব্যাক্তি জীবনে কি পেয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী? কি তার চাওয়া ছিলো চট্টগ্রামবাসীর কাছে? সেই হিসেব কষলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, যে অমূল্য সম্পদ তিনি পেয়েছেন তা হচ্ছে মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এক জীবন উৎসর্গ করে গেছেন শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে, এর চাইতে বেশী কিছু চাননি কোনদিন। পাহাড় সমান কৃতিত্বের অধিকারী এই বীরের নাম হয়তো থাকবে না বিশ্বের অবিসংবাদিত- নেতাদের কাতারে। কিন্তু যতদিন এই চট্টগ্রাম বেঁচে থাকবে, যতদিন কর্ণফুলী নদীর স্রোতধারা বহমান থাকবে মাহাথিরের মত ততদিন চট্টগ্রামের আকাশে, বাতাসে বইতে থাকবে মহিউদ্দিনের নাম।
লেখক- সাবেক ছাত্র নেতা, ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ
sk_lovelu@yahoo.com