বিডি মেট্রোনিউজ ॥ হাইকোর্ট থেকে শিশুপার্ক শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। এই সড়কে একদিনেই দুটি শিশুর মৃত্যুত তাই মনে করছেন নাগরিকরা। রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নবম শ্রেণির ছাত্রী নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাসের ধাক্কায় আরেক স্কুলছাত্রী মারা গেছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগে শিশুপার্কের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তারকে (১২) সাত নম্বর পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর রমনায় বার কাউন্সিল ভবনের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বাসের ধাক্কায় সাবিহা আক্তার সোনালীর (১৪) মৃত্যু হয়। সে সেগুন বাগিচা বেগম রহিমা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবার নাম জাকির হোসেন। তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে। সোনালীর মৃত্যুর খবর শোনার পর স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মৎস্য ভবন মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
খাদিজা আক্তার কুমিল্লার লক্ষ্মণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার পিতার নাম বাচ্চু মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মন্দুরায়।
খাদিজার বড় বোন আয়েশা বেগম জানান, ১০-১২ দিন আগে সে গ্রাম থেকে রাজধানীর শ্যামপুরে তার বাসায় বেড়াতে আসে। আজ আয়েশা বেগম স্বামী, সন্তান ও খাদিজাকে নিয়ে শিশুপার্কে বেড়াতে আসেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। সে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পরে থাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বাসটিকে আটক এবং এর চালক শাহীন হোসেনকে গণপিটুনি দেয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৫ সালে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হন। এই সংখ্যা ৩৫৯। এর মধ্যে রাজধানীতেই নিহত হন ২২৭ জন।