বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে রাত ৯টায় ‘কবিতার গান’ শীর্ষক পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ৩২তম জাতীয় কবিতা উৎসব। এবারের উৎসবের স্লোগান ছিল ‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’।
গত ১ ফে্ব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরসংলগ্ন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে সকল ১০টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রবীণ কবি আসাদ চৌধুরী। এ সময় উৎসব মঞ্চ থেকে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। সেই সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন ভারতের কবি আশীষ সান্যাল, উৎসবের আহ্বায়ক কবি রবিউল হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। এর আগে ভোরে জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সমাধিস্থল এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আসাদ চৌধুরীর উদ্বোধনী ভাষণের আগে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন কবি আমিনুর রহমান সুলতান এবং ঘোষণাপত্র পাঠ করেন শিহাব সরকার।
এবারের জাতীয় কবিতা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশসহ ভারত, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ক্যামেরুন, মিশর, মেক্সিকো, জাপান, তাইওয়ান ও কলম্বিয়া থেকে আমন্ত্রিত কবিবৃন্দ। প্রথম দিন দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টার এক বিশেষ সেশনে সুইডেনের আরনে জনসন, ক্রিস্টিয়ান কার্লসন ও ভিভেকা জোরেন, যুক্তরাজ্যের এগনেস মেডাওস, ক্যামেরুনের জয়সে আওসাতাতাং, মিশরের ইব্রাহিম এলমাসরি, জাপানের টেন্ডু তেইজিন, তাইওয়ানের মিয়াও-ওয়াইতুম, কলম্বিয়ার মারিও মাথর, ভারতের কবি আশীষ সান্যাল, সুবোধ সরকার, রাতুল দেববর্মণ, দিলীপ দাশ, সংঘ মিত্রা চক্রবর্তী, প্রদীপ কর, অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র মিত্র ইংরেজি অনুবাদের সঙ্গে স্বভাষায় স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
প্রথম দিন সমাপ্ত হয় রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত আবৃত্তি শিল্পীবৃন্দের অংশগ্রহণে আবৃত্তিপর্বের মধ্য দিয়ে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় জাতীয় কবিতা উৎসবের শেষ দিন। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন নূহ-উল-আলম-লেলিন, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. রফিকউল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবুল হাসনাত, সৈয়দ আজিজুল হক, আসাদ মান্নানসহ আরো অনেকে।
শেষ দিনে উল্লেখযোগ্য পর্বের মধ্যে ছিল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ শীর্ষক সেমিনার। এই পর্বে বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আশিস স্যানাল, হারিসুল হক, ক্রিশ্চিয়ান কার্লসন, দিলীপ দাসসহ আরো অনেকে।
শেষ দিনে বাকি পর্বগুলোতে ছিল নিবন্ধিত কবিদের কবিতা পাঠ। এবারের জাতীয় কবিতা উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ৩০০ এর বেশি কবি অংশগ্রহণ করেন।