সিরিজ জয়ের প্ল্যান যেভাবে সাজানো হয়েছে আজ

বিডি মেট্রোনিউজ, খুলনা মাত্রাতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কুফল দেখে তিনি এখন বাস্তবের মানুষ। তাই আজকের ম্যাচে নতুন কুঁড়ির আসর না বসিয়ে সিরিজ জয়ের কঠিন চ্যালেঞ্জ সাজাচ্ছেন কোচ হাথুরুসিংহে।

তামিমকে বলে রাখা হয়েছে, আজকের ম্যাচের জন্য তৈরি থাকতে। পেসার তাসকিন আর স্পিনার আরাফাত সানিকেও ইঙ্গিত দেওয়া আছে সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জটা লুফে নেওয়ার; আগের ম্যাচের সব ভুল দূরে ঠেলে নতুন ম্যাচের জন্য তৈরি হওয়ার। তাহলে কি ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজে’ আজ কমন সেটেই প্রশ্ন সাজিয়েছেন হাথুরু? আজ কি তাহলে কোনো পরীক্ষা চলবে না? ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিকই ছিল। কিন্তু আমরা মাঠের পরিকল্পনাগুলো ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
সিরিজ শুরুর আগে একবারই শুধু মাশরাফি বলেছিলেন র‌্যাংকিংয়ের কথা। সিরিজের চারটি ম্যাচ জিতলে নয়ে থাকা আফগানিস্তানকে টপকে যাওয়া যেত। যেখানে সমীকরণটা ছিল এমন_ বাংলাদেশের একটি জয়ে ৩টি রেটিং পয়েন্ট। আর একটি হারলে খোয়া যাবে ৫টি রেটিং পয়েন্ট! তা এরই মধ্যে দুটি জয়ে ৬ পয়েন্ট মেলার পর একটি হারে মাইনাস হয়েছে ৫, সিরিজ থেকে হাতে মাত্র ১টি পয়েন্ট। আজ কোনো ধরনের অঘটনে সেটাও বাদ যেতে পারে। সে সঙ্গে সিরিজ হারলে যে মানসিক চাপ তৈরি হবে সেটাও এশিয়া কাপের আগে অস্বস্তিতে রাখবে; কিন্তু এসব অলক্ষুণে কথা এখনই মাথায় আনছেন না কোচ-অধিনায়ক।
এদিন টিম হোটেলের মিটিংয়ে সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে, হারা ম্যাচটিকে একটা ‘ব্যাড ডে’ ধরে নিয়ে ভুলে যাও। ওটা ছিল দুঃস্বপ্ন! আমরা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে জিম্বাবুয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
কোচিং স্টাফদের বিশ্লেষণ থেকে একটি ব্যাপার বেরিয়ে এসেছে, তা হলো জিম্বাবুয়েকে কিছুতেই ১৮০ রান স্পর্শ করতে দেওয়া যাবে না। প্রথমে হোক কিংবা দ্বিতীয়তে, ১৬০-এর মধ্যেই মাসাকাদজাদের ধরে রাখতে হবে। এ চ্যালেঞ্জটা মাশরাফি ও বোলিং বিভাগের ওপরই ন্যস্ত হয়েছে। মুশফিকশূন্য এই দলের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ১৮০ রান তোলা যে বড় চ্যালেঞ্জ, সেটা আগের ম্যাচেই বুঝে নিয়েছেন কোচ।
যদিও টি২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন দলের রান যেন একশ’ আশি টপকাতে পারে! কিন্তু নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ কি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এই সিরিজ, হাজারো পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও দেখা মিলছে না তার। শুরুটা ভালো হলেও মাঝে এসে হচ্ছে ছন্দপতন, চার নম্বরে শুভাগত, মোসাদ্দেক কিংবা মাহমুদুল্লাহ কারও ব্যাটই সময়মতো চওড়া হচ্ছে না। এ জায়গাটিতে দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts