বিডি মেট্রোনিউজ॥ মোবাইল ফোনে প্রতি কলড্রপে এক মিনিট ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গত ১৯ জানুয়ারি প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কলড্রপ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সে সভায় কলড্রপে ক্ষতিপূরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিতে বিটিআরসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে সরওয়ার আলম বলেন, এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের কলড্রপ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনবে বলে আশা করা যায়।
মুঠোফোনে প্রয়োজনীয় কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যেটি কলড্রপ হিসেবে পরিচিত। এখন থেকে এমন কলড্রপ হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহককে প্রতি কলড্রপের জন্য এক মিনিট ফেরত দিতে হবে।
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কয়েকটি অপারেটর পরীক্ষামূলকভাবে কলড্রপে ক্ষতিপূরণের সুবিধা চালু করে। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম এ সুবিধা দেয় বাংলালিংক। গ্রামীণফোন চালু করে ১ অক্টোবর থেকে। তবে কিছুদিন পর কোনো ঘোষণা ছাড়াই তা বন্ধ করে দেয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে আমরা (মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এ নিয়ে একটি বৈঠকের বিষয়ে বিটিআরসিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, কতখানি কলড্রপ হলো, আর কতো মিনিট ফেরত দেওয়া হলো- বিটিআরসি যেন যথাযথভাবে মনিটরিং করে, সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হবে। কলড্রপসহ মোবাইল ফোন গ্রাহকদের নানা ভোগান্তির প্রেক্ষাপটে গতবছর আগস্টে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। কলড্রপ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান বা গ্রাহকদের টকটাইম ফেরৎ দেওয়া যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখতে সে সময় বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন তিনি।