বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ চুমু শুধু চুমু নয়। আধুনিক সম্পর্কে যৌনতাই হল প্রধান আকর্ষণ। তবে যৌনতাকে বাদ দিলে শুধুমাত্র চুমুর দ্বারাই কিন্তু সঙ্গীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা যায়। একটা চুমুই আপনার প্রেমের গাঢ়ত্ব বোঝাতে পারে।
চুমুর মাধ্যমে আরও গাঢ় ভালবাসা জানাতে জেনে নিন কিছু তথ্য…
১. একজন মানুষ তার জীবনের ২০ হাজার ১৬০ মিনিট কাটান শুধুমাত্র চুম্বন করেই। পৃথিবীর দীর্ঘতম চুমু হল ৩০ ঘণ্টা ৫৯ মিনিটের।
২. অ্যান্থ্রোপলজিস্টদের মতে ৯০ শতাংশ মানুষ চুম্বন করেন। তবে মানুষ বিশেষে চুমুর প্রকারভেদ থাকে। বিশ্বের অনেক স্থানেই চুমুকে একটা প্রথা হিসেবে মানা হয়।
৩. ঠোঁটের মধ্যে থাকা একটি পেশীর দ্বারাই চুম্বন করা যায়। যার নাম অরবিকুলারিস অরিস। এই পেশীর জন্যই ঠোঁট কুঞ্চিত করা সম্ভব হয়। চুমুর বিজ্ঞানকে ফিলেম্যাটোলজি বলা হয়।
৪. চুম্বন করার ফলে ১ মিনিটে মোট ২৬ ক্যালোরি খরচ করা সম্ভব। এমনকি চুমুর ফলে হার্টও ভালো থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরলের নিঃসরন বন্ধ করে ভালো কোলেস্টেরল নিঃসরনে সাহায্য করে। এমনকি আপনার মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
৫. চুমুর সময় খুব কম মানুষই ঠোঁট কুঞ্চিত করার সঙ্গে মাথা বাম দিকে হেলিয়ে দেয়।
৬. সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, যে সব পুরুষরা কাজে যাওয়ার আগে নিজের স্ত্রীকে চুম্বন করেন তারা ৫ বছর বেশি বাঁচেন। এমনকি শুধুমাত্র চুমুই আপনার আয়ু বাড়াতে সক্ষম।
৭. মা পাখি বাচ্চাদের মুখের মধ্যে খাবার ঢুকিয়ে দেয়। গবেষকদের মতে মানুষের বাচ্চার ক্ষেত্রেও এই ভাবেই খাবার খাওয়ানো উচিত। কারণ মায়ের মুখের লালা বাচ্চার হজমের জন্য উপকারি। এর থেকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন এবং জিঙ্কের মতো প্রধান পুষ্টি বাচ্চার শরীরে যায়।
৮. সব থেকে বড় কথা চুমুর দ্বারাই সঙ্গী বিচার করা সম্ভব হয়। আপনার সঙ্গী আপনাকে কতটা ভালবাসেন তা জানতে পারেন চুমুর দ্বারাই।
৯. হেলেন ফিসার নামে একজন গবেষকের মতে, টেসটোস্টেরন হরমোন ছেলেদের লালার মধ্যেই বর্তমান। এমনকি ছেলেদের মুখের মধ্যে লালার পরিমাণ মেয়েদের থেকে অনেক বেশি হয়। চুমুর সময় ছেলেদের টেসটোস্টেরন হরমোন মিশ্রিত লালা যখন মেয়েদের মুখের মধ্যে যায় তখনই যৌন উদ্দীপনা জাগে।
১০. চুম্বন করার ফলে অক্সিটক্সিন হরমোন নিঃসরণ হয়। যা ভালবাসার প্রতীক।