নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই আইসল্যান্ড ফেভারিট আর্জেন্টিনাকে রুখে দিয়েছিল। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তাই অনেকেই তাদের এগিয়ে রেখেছিলেন। আগ বাড়িয়ে কেউ কেউ বলেছেন, ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ক্রোয়েশিয়ার পর তারাই যেতে পারে নকআউট পর্বে। সে আইসল্যান্ড কিনা হেরে বসেছে নাইজেরিয়ার কাছে, তাও আবার ২-০ গোলে।
আজ শুক্রবার ভলগোগ্রাদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নাইজেরিয়ার এই জয়ে সাবেক চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার নকআউট পর্বে খেলার আশা কিছুটা জেগে উঠেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারাতে পারলে শেষ ষোলোতে উঠতে পারে মেসিরা।
এদিন নাইজেরিয়ার জয়ের নায়ক আহমেদ মুসা। জোড়া গোল করে দলকে জয়ের উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন তিনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য সমতায় থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন মুসা। ওবি মিকেলের চমৎকার ক্রসে বলটি থামিয়ে অসাধারণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এটিকে এবারের আসরের অন্যতম সেরা গোল বললে ভুল বলা হবে না।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সেই মুসাই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। মাঝমাঠ থেকে একটি বল পেয়ে দ্রুত গতিতে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকে কাটিয়ে ভেবে-চিন্তে দুই ডিফেন্ডরের মাঝ দিয়ে বল জালে জড়ান (২-০)। এই গোলটিও ছিল চমৎকার।
এর আগে অবশ্য ৫৬ মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেছিল নাইজেরিয়া। মিডফিল্ডার উইলফ্রেড এনদিদির বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার শট গোলরক্ষক ফিস্ট করে কোনোমতে রক্ষা করেন।
৬৫ মিনিটে ভিক্টর মসেসও আরো একটি সুযোগ নষ্ট করেছিলেন নাইজেরিয়ার হয়ে। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর আচমকা শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায় বল।
আইসল্যান্ড ব্যবধান কমানোর দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও নষ্ট করে, পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পেরে। ৮২ মিনিটে জিলফি সিগার্ডসন পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। তাঁর শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এদিনের জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নাইজেরিয়া দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে। আর আর্জেন্টিনার সংগ্রহ মাত্র এক পয়েন্ট। পরের ম্যাচে মেসিরা জিততে পারলে তাদের হবে চার পয়েন্ট। তখন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা জেগে উঠবে।
অবশ্য আইসল্যান্ড পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারালে সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধানে হিসেবে, আর্জেন্টিনা নাকি আইসল্যান্ড পরের পর্বে খেলবে। এই গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে পরের পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া ৬ পয়েন্ট নিয়ে।