জাকির তালুকদার ॥ কানাডা আসার আগে ধূমপান ছেড়ে দিয়ে আসতে পারলে খুবই ভালো।
একটা কারণ– সিগারেটের দাম খুবই বেশি। পুরো প্যাকেট ছাড়া খুচরো বিক্রি হয় না। পরের কারণ– বাড়ির মধ্যে বা কোনো বিল্ডিং-এর মধ্যে ধূমপান করা যায় না। লিখতে লিখতে, খেলা দেখতে দেখতে বা মুভি দেখতে দেখতে সিগারেট খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনটি দরজার তালা খুলে ব্যাক অ্যালিতে গিয়ে সিগারেট ধরাতে ধরাতে নেশাটাই চটকে যায়।
তবে বাইরে সিগারেট খাওয়া যায়। কানাডার মানুষ প্রচুর ধূমপান করে। সেখানেও একটু বিপদ আছে। কানাডার মানুষ কোনো কিছু না চাইলেও সিগারেট দেখলে হাত পাতে চট করে– মে আই হ্যাভ ওয়ান স্যার! বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী এবং জাঙ্করা। জাঙ্করা তো আরেক কাঠি সরেস। গাড়ি পার্কিং-গুলোতে ঘুরে বেড়ায়। গাড়ির জানালা দিয়ে যদি দেখতে পায় যে ভেতরে সিগারেটের প্যাকেট আছে. তাহলে অনেক সময় কাচ ভেঙে সিগারেট বের করে নেয়। সেই সঙ্গে টাকা থাকলে সেটাও নেয়।
লোকেরা ড্রাইভিং সিটের পাশের ছোট একটা উন্মুক্ত গর্তের মতো বক্সে কয়েন রাখে। টুনি(২ ডলার), লুনি(১ ডলার), কোয়ার্টার(২৫ সেন্ট), ডাইম(১০ সেন্ট), নিকেল(৫ সেন্ট) রাখে সেখানে অনেকেই। জাঙ্করা হাজার ডলারের জানালা ভেঙে এইভাবে ২/৪ ডলার যা পায় নিয়ে যায়। নেশার জন্য লাগবে। অন্য দামি জিনিস থাকলে সেগুলো ছুঁয়েও দেখে না। কারণ চোরাই মাল বিক্রি করা খুব রিস্কি। ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এখানে সিগারেট ছাড়তে চাইলে বিনে পয়সায় ২/৩ বছর ধরে নিকোটিন গাম সাপ্লাই দেওয়া হয়।
অতএব ধূমপান ত্যাগ করুন, বিপদমুক্ত থাকুন!
ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে