বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আর্জেন্টিনা , স্পেন , পর্তুগাল গেল আর এবার বেলজিয়ামও বাড়ির পথ ধরতে বসেছিল! যোগ করা সময়ে নাসির শাদলি গোল করেছিলেন বলে বেলজিয়ামের রক্ষা। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁর গোলে জাপানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বেলজিয়াম। শেষ আটে তাঁদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে দুই গোল করে আরেকটি অঘটনের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল জাপান। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন গোল করে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠে গেছে বেলজিয়াম।
রস্তোভ-অন-ডনে সোমবার রাতে শেষ ষোলোয় ক্ষণে ক্ষণে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে আসরের অন্যতম ফেভারিট বেলজিয়াম।
শুরু থেকেই জাপানের রক্ষণে চাপ তৈরি করা বেলজিয়াম প্রথম ভালো সুযোগটা পায় ২৬তম মিনিটে। ড্রিস মের্টেন্সের গোলমুখে বাড়ানো ক্রস ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে না পারায় সুযোগ আসে রোমেলু লুকাকুর সামনে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ডিফেন্ডার মায়া ইয়োশিদা বাঁচান দলকে। পরের মিনিটে এদেন আজারের জোরালো শট রুখে দেন গোলরক্ষক এইজি কাওয়াশিমা।
বিরতির আগে থিবো কর্তোয়ার ভুলে গোল খেতে বসেছিল বেলজিয়াম। বাঁ-দিক থেকে ইউতো নাগাতোমোর শট ছয় গজ বক্সে ফরোয়ার্ড ইউয়া ওসাকোর পায়ে লেগে একটু দিক পাল্টায়। বল ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান চেলসির গোলরক্ষক। যায় হাত ফসকে; তবে বলে গতি না থাকায় সে যাত্রা বেঁচে যায় বেলজিয়াম।
শুরু থেকে বল দখলে পিছিয়ে থাকা জাপান প্রথমার্ধে মাঝে মধ্যেই পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে তেমনি এক আক্রমণে এগিয়ে যায় এশিয়ার দলটি।
নিজেদের সীমানা থেকে মিডফিল্ডার গাকু শিবাসাকির থ্রু বল ঠেকাতে ব্যর্থ হন ইয়ান ভার্টোনেন। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ছুটে আসা ডিফেন্ডার ভার্টোনেনকে কোনো সুযোগ না দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন গেনকি হারাগুচি।
ভাগ্য সহায় হলে পরের মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো বেলজিয়াম। কিন্তু এদেন আজারের জোরালো শট লাগে পোস্টে।
পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ৫৩তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে বেলজিয়াম। ডি-বক্সের বাইরে শিনজি কাগাওয়া দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পিছনে তাকাসি ইনুইকে বাড়ান। বল ধরেই প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন এইবারের মিডফিল্ডার ইনুই।
গোলের জন্য মরিয়া বেলজিয়াম পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুবার বল জালে পাঠিয়ে সমতা ফেরায়। ৬৯তম মিনিটে নেওয়া কর্নার থেকে আসা বল ফিস্ট করে ঠিকমতো ফেরাতে পারেনি গোলরক্ষক। জটলা থেকে বল যায় বাঁ দিকে থাকা ভার্টোনেনের কাছে। অসাধারণ এক হেডে গোলরক্ষকের মাথার উপর দূরের পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠিয়ে আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন টটেনহ্যাম হটম্পারের এই ডিফেন্ডার।
আর ৭৪তম মিনিটে বাঁ-দিক থেকে আজারের দারুণ ক্রসে কাছ থেকে হেড করে সমতা ফেরান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার মারোয়ান ফেলাইনি।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কেইসুকে হোন্ডার দুর্দান্ত একটি ফ্রি-কিক ডান দিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান কর্তোয়া। আর এরপরই জাপানকে থমকে দেওয়া সেই গোল।
কর্তোয়ার গড়ানো বল ধরে সোজাসুজি এগিয়ে ডান দিকে মুনিয়েকে বাড়ান ডি ব্রুইনে। আর তার ক্রস ডি-বক্সে ছেড়ে দেন লুকাকু। ওই বল ধরে প্রথম ছোঁয়ায় জালে ঠেলে দেন বদলি মিডফিল্ডার নাসের শাদলি।