রাসেল হোসেন, ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনেসথেসিয়ার অভাবে ৪ মাস ধরে সিজার বন্ধ। এতে বিপাকে রয়েছে উপজেলার হাজারও গর্ভবতী মায়েরা।
ধামরাই উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতাল প্রায় ৭ লাক্ষ লোকের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একমাত্র নির্ভরযোগ্য স্থান। এখানে গর্ভবতী মায়েদের সিজার অপারেশনের জন্য রয়েছে একটি চকচকে ঝকমকে অত্যাধুুনিক অপারেশন থিয়েটার। রয়েছে উন্নত আধুনিক যন্ত্রপাতি। রয়েছে পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যাবস্থা। কোনটেরই কমতি নেই। চিকিৎসক সংকটের কারণে ৪ মাস ধরে অপারেশন থিয়েটারে কোন অপারেশন হচ্ছে না।গাইনি চিকিৎসক থাকলেও নেই এনেসথেসিয়া। এনেসথেসিয়ার কারনে উপজেলার হাজারও গর্ভবতী মায়েরা পড়েছে চরম বিপাকে।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এক গর্ভবতী মা সালেহা বেগম জানান, আগের দিনে কোন সিজারে প্রয়োজন হত না। তাই সিজার করার জন্য কোন ডাক্তারের প্রয়োজন হত না। এখন জমানা পাল্টে গেছে তাই এখন সিজারের প্রয়োজন হয়। আর এখানে ৪ মাস ধরে সিজার করার কোন ডাক্তার নেই। আমরা গরীব মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে আমরা বড় কোন হাসপাতালে সিজার করাতে পারব না। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের এখানে যেন দ্রুত সিজারের ডাক্তার দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, এখানে এনেসথেসিয়ার যে কর্মকর্তা ছিলেন তিনি গত মার্চ মাসে চলে যওয়ায় আমরা ৪ মাস ধরে কোন সিজার অপারেশন করতে পারছি না। আমি প্রতি মাসে এনেসথেসিয়ার জন্য আবেদন করে যাচ্ছি এতে কোন ফল পাচ্ছি না। আমাদের এখানে কোন ব্যসরকারি ভাবে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। আর আমাদের কোন প্রকার ফান্ড নেই যে আমরা বাহিরে থেকে এনেসথেসিয়া এনে অপারেশন করাব।এই সমস্যা দূর করার জন্য উপজেলা সমাজ সেবা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।