শিউল মনজুর ॥ সম্প্রতি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮১ ব্যাচের মনোমুগ্ধকর মিলন মেলা গোলাপগঞ্জ পৌরসভার এতিমগঞ্জ-এর সবুজ প্রকৃতির আঙ্গিনায় নির্জনপল্লীর একটি রেস্ট হাউসে ও সারকারখানার সুসজ্জিত অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
পিছনে ফেলে আসা সোনালি স্মৃতিবুকে নিয়ে ১৯৮১ সনের সেদিনকার কিশোর-কিশোরীরা একত্রে মিলিত হয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন হারানোদিনের গৌরব উজ্জ্বল আর নির্মল দিনের আলোয়।
প্রকৃতির নান্দনিকতায় আর ব্যক্তি মানসের আবেগময় উচ্চারণের মধ্যদিয়ে ৮১ ব্যাচের এই মিলন মেলায় সৃষ্টি হয়েছিল শৈশব-কৈশোরের দূরন্ত ক্যানভাস। যে ক্যানভাসে ছিল জীবন স্বপ্নের আশা প্রত্যাশার রঙধনু রঙ। এই রঙধনু রঙে আজ সমাজের নানা ক্ষেত্রে ৮১ ব্যাচের তরুণ-তরুণীরা প্রতিষ্ঠিত। অবদান রাখছেন তাঁরা দেশ ও দশের সার্বিক কল্যাণে।
কেউ বা হয়েছেন সরকারী আমলা, কেউ বা হয়েছেন রাজনীতিবিদ, কেউ বা হয়েছেন শিক্ষাবিদ, কেউ বা হয়েছেন ব্যবসায়ী ও কেউ বা চাকুরীজীবি, কেউ বা হয়েছেন খ্যাতিবান সাংবাদিক ও আইনজীবি, আবার দুই একজন দেশের সুপরিচিত লেখক-কবি। সবাই এই সমাজের আঙ্গিনায় আলোর দিশারী।
এই মিলন মেলায় ৮১ ব্যাচের বন্ধুরা ছুটে এসেছেন ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। আবার কয়েকজন এই মিলন মেলায় যোগ দেবার জন্যে সুদূর ইউরোপ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছেন বিপুল আনন্দ নিয়ে। আবার এই মিলন মেলায় অনেকেই পরিবারসহ যোগ দেয়ায় মিলন মেলা হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত।
কুইজ প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, স্মৃতিচারণ, বেড়ানো, ভুরিভোজন আর সেলফির মধ্যদিয়ে শেষ হলেও সমাপ্তিতে প্রত্যেকের হৃদয়ে গুণগুণ করে কেঁদে উঠেছিল সেই সুর আর কথামালা, আর কি ফিরে পাব না সেই সোনালি দিন, দেখা হবে না এই বন্ধুদের সাথে?