মেট্রো নিউজ : লাল টুকটুকে লঙ্কা শরীরে জমতে দেবে না কোনও মেদ। কচমচিয়ে মরিচ চিবোলে ওবেসিটিতে আক্রান্ত হবেন না৷অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
তাদের মতে, হাই-ফ্যাট ডায়েট পাকস্থলিতে অনুভূতিপ্রবণ কোষকে নষ্ট করে দেয়৷ যার ফলে অল্প খেলেই মনে হয় পেট ভর্তি হয়ে গিয়েছে৷ ঝাল লঙ্কা খেলে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি হয়৷ ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে যায়৷ এই নতুন ‘লঙ্কা থেরাপি’র মাধ্যমে অতিরিক্ত স্থূলতার অসুখ এড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷
পিএলওএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশন ও গ্যাসট্রোএনটেস্টিনাল ডিজিজ বিভাগে ওবেসিটি রোগীদের উপর এই থেরাপি প্রয়োগ করে লাল লঙ্কার গুণের কথা জানিয়েছেন গবেষকরা৷
অধ্যাপক আমান্ডা পেজের মতে, ‘পাকস্থলি পূর্ণ হয়ে গেলে তা স্ফীত হয়৷ পাকস্থলিতে উপস্থিত স্নায়ুকে সক্রিয় করে শরীরকে জানিয়ে দেয় যে তা ভর্তি হয়ে গিয়েছে৷ মস্তিষ্কে এই বার্তা পৌঁছলেই আমরা খাওয়া থামিয়ে দিই৷ লাল লঙ্কা খেলে পাকস্থলির টিআরপিভি-১ কোষগুলি দ্রূত পেট ভরে যাওয়ার বার্তা পাঠিয়ে দেয়৷ যার ফলে অতিরিক্ত খেতে যারা ভালবাসেন তারা পেট ভরে গিয়েছে মনে করে আর বেশি খাবেন না৷ এর ফলে বেশি খাওয়ার জন্য যারা মোটা হয়ে যান তাঁরা খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।’
লঙ্কার ঝাঁঝ বা ক্যাপসাইসিন মানুষের খাদ্যগ্রহণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷