আমাদের প্রাণপ্রিয় নগরী ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদী একটি বুড়িগঙ্গা নর্দমায় পরিনত হচ্ছে। যদিও অনেক মানুষের জীবন জীবিকা এই নদীর পানির উপর নির্ভরশীল। অথচ, এই শহরে প্রতিদিন ৪৫০০ টন আবর্জনা নদীতে ফেলছে।
গবেষকদের মতে প্রায় ৯ টি শিল্পাঞ্চল এই নদী দুষণের প্রাথমিক উৎস। টঙ্গী, সাভার, হাজারীবাগ ইত্যাদি শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ ছাড়াও বাসা বাড়ীর ময়লা আবর্জনা এই পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করছে ও নানা রকম পানিবাহিত জীবাণুর অভায়শ্রম হয়ে উঠেছে।
বুড়িগঙ্গার মতো আমাদের দেশে আর ২৩০ টির অধিক নদী রয়েছে সারা পৃথিবীতে রযেছে আরো অনেক নদী যেগুলো বুড়িগঙ্গা নদীর মতো ক্রমাগত দূষিত হচ্ছে। জেলে ,কৃষক ও নানা পেশার মানুষ এই নদীর পানির উপর নির্ভশীল। এই দূষিত পানি ব্যবহার করায় নানা রকম পানি বাহিত রোগ কলেরা, টায়ফয়েড, ডায়রিয়া ও ক্যন্সারের মতো মারাতœক রোগ হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। ১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ সালের উপর্যপরি ভয়াবহ বন্যার পর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কষিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানের লক্ষ্যে ১৯৫৭ সনে জাতিসংঘের অধীনে গঠিত। বাংলাদেশের ২৮.৩৩ হেক্টর প্লাবন অঞ্চল; যার কেবল ২.১৮ হেক্টর অঞ্চল থেকে মাছ পায়। আরও সতর্ক হলে আরো ২২ হেক্টর অঞ্চলে মাছ পাওয়া সম্ভব দূষিত পানির ফলে মাছ তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আমাদের দেশে প্রতিদিন প্রায় ৩৮ জন শ্রমজীবি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র নিরাপদ পানির অভাবে। আমরা যদি শুধু মাত্র নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে পারি এই মৃত্যুহার অনেক কমে যাবে।
পানিবাহিত রোগের পরিমাণ কমে গেলে আমাদের অনেক অর্থের অপচয় রোদ হবে। যা দিয়ে সমাজে অন্যান্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা যাবে। যার ফলে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। কল কারখানায় বর্জ্য সরাসরি নদীতে না ফেলে পরিশোধন করলে পানি দূষণের মাত্রা অনেক কমে যাবে। ফলে আমাদের পরিবেশ থাকবে ভালো। পরিবেশে ভারি রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণও অনেক কমে যাবে। ক্যন্সারের মতো কঠিন রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক কমে যাবে। সর্বোপরী পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে মানুষের উপর দুষিত পানির প্রভাব কম পরবে।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ সভা ২২ মার্চ তারিখটিকে বিশ্ব জল দিবস বা বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালিত হয় এবং তার পর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। দিবস আসে দিবস যায়, বাস্তবে এর প্রভাব কি পড়ে তাই দেখার বিষয়।
আমরা তো কথায় কথায় বলি- ‘পানিই জীবন পানিই মরণ’ জীবন মরণের এই পানি আমাদের জীবন ও জীবিকার অনেকটাই সম্বল। যার পুরো চিত্র উঠে এসেছে ‘জল ও জীবন’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। কিছুদিন আগেও পদ্মার ভাঙ্গন দেখে আৎকে উঠেছি, কি ভয়ানক অবস্থা হয়েছে। রাক্ষসী পদ্মার ছোবলে কি হারায়নি। আবার এই পদ্মাই অনেকের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। পানি না হলে ফসল হয়না, আবার অধিক পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন।
‘জল ও জীবন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়ে গেলো ১৮, ১৯, ২০ অক্টোবর ২০১৮ (তিন দিন ব্যাপী) রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে। এই তিনদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্যালারি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো। আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল বেসরকারী সংস্থা-ডরপ’। ১৮ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার বিকালে দৃক গ্যালারিতে ডরপ ও বিডিপিজি আয়োজিত “জল ও জীবন” আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। ডরপ’র সভাপতি মোঃ আজ্হার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব হোসনে আরা আক্তার, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের দেশীয় প্রতিনিধি ডা. খায়রুল ইসলাম, দি এশিয়ান এইজের কনসালটেন্ট এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, সিনিয়র আলোকচিত্রী মীর শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ডরপ’র গবেষনা পরিচালক মোহাম্মাদ যোবায়ের হাসান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাদিয়া বেনজির। প্রদর্শনীতে ‘জল ও জীবন’ বিষয়ে ৩২ জন আলোকচিত্রীর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত ১০০টি ছবি স্থান পেয়েছে।
আমাদের দেশে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ৭শ নদী ও শাখা নদী রয়েছে। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নদীর গুরুত্ব অনেক। এ ছাড়া গ্রামের ৯৮ ভাগ মানুষ পানি সুবিধার আওতায় থাকলেও বর্তমানে দেশের প্রায় ২০শতাংশ টিউবয়েলে আর্সেনিক বিদ্যমান এবং প্রকৃত নিরাপদ পানির আওতায় দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ। সুপেয় বা নিরাপদ পানি প্রাপ্যতা এখনও দেশের কোথাও কোথাও মরিচীকা। টেকসই উন্নয়নে সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা এবং এ খাতে সরকারের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন এই সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
উপকূলীয় এবং হাওড় এলাকায় জল ব্যবস্থা ও জলের মাঝে জীবিকার নানা চিত্র উঠে এসেছে এই প্রদর্শনীতে। আমরা যারা শহরমূখী বা শহরে বসবাস করি তারা কখনোই চিন্তা করতে পারিনা কি ভাবে দিন যাচ্ছে ঊপকূলীয় এবং হাওড় এলাকার লোকজনের। প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে নিজেই অনেক অবাক হয়েছি।
প্রদর্শনীতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারি তাদের অনুভূতি, তারা বলেন- ‘আসলে আমরা যারা শহরে আছি তারা গ্রাম দেখি টিভিতে, এখানে এসে যা দেখছি তা কল্পনাও করতে পারিনি। আর টিভিতে এসব কমই উঠে আসে, নিউজে যা দেখি বুঝতে পারি বাস্তব অনেক ভিন্ন। বসত বাড়ী থেকে শুরু করে বিদ্যুতের পিলার কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না এই পানি থেকে। দেখেন অদ্ভুত এইছবিটা, ছেলেটার বয়স কত হবে, খুব জোর ১৩/১৪, এই পানিতেই সে পাতিল ধুচ্ছে জগে করে পানি নিচ্ছে। তার মানে এই পানি দিয়েই সে সব কিছু করছে আর করবে।’
ওয়াশরুমের দুটি ছবি দেখি, একটা দেখতে গিয়ে মনে পড়ে আমাদের বিলাশ বহুল শপিংমলের কথা। যারা এখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে তারাও কত কি জানে, যা সাধারণ অনেকে জানেনা। আরেকটায় ছবি দেখি আয়নায় ছোট মেয়েটার ছবি অনেক ভাবনায় ফেলে। র্ডপ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৬নং ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদেও বাজেট বরাদ্দের একটা চার্ট দেখি। আসলে প্রতিটা অফিসেই এমন একটা চার্ট থাকা দরকার।
পানির অভাবে যেখানে তারা কাপড় চোপড় পরিস্কার করছে, সেখান থেকেই তারা খাবারের পানি সংগ্রহ করছে। খাবারের একটু নিরাপদ পানি আনতে তাদের যেন রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। পানি ভরা নদী অথচ খাবার পানি নেই, পরিবারের মায়েরা সন্তানরা নৌকা পাড়ি দিচ্ছে আর খাবার পানি সংগ্রহ করছে। নোংরা আবর্জনায় হেঁটে বেড়াচ্ছে টোকাই ছেলেটা, তার জীবিকা যেন এখানেই। এমন নর্দমার পাশদিয়ে আমরা হেঁটে যেতেই আপত্তি করি, কিন্তু ওই শিশু ওই কিশোর নিজের জীবিকার সন্ধানে এই ভাবেই বস্তা কাঁধে হেঁটে যায়।
আমাদের জীবনের লবণের প্রয়োজন অপরিসীম, সেই লবন খেতের দারুন দৃশ্য, যে পানিতে তার জন্ম সে পানিতেই তার মরণ হয়। কৃষি কাজে নারীদের অংশগ্রহণ এখন চোখে পড়ার মতো, জীবিকা এমনিই বিষয়। কোন কাজই ছোট নয়। এই পানিই হয়ে এলো ওদের জীবনের কাজ। জেলে জীবনের অনেক কিছু উঠে এসেছে অবসরে জাল বুনোনের মাঝে। যখন নদী ভরা পানি থাকে তখন তারা জীবিকার জন্যে পানিতে, আর অবসরে সেই নৌকায় ঘুমিয়ে পড়ে। অনেক নলকূপের জীবন উঠে এসেছে ছবিতে, আমাদের সুপেয় পানি পেতে নলকূপের উপর নির্ভর করতে হয়, অথচ আর্সেনিক এর কবলে আমাদের নলকূপে গুলো। খা খা ফেঁটে যাওয়া মাটির মাঝে দুরন্ত কিশোরের শৈশব। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটায় অনেকে।
ডরপ’র পানিই জীবন প্রকল্পের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোঃ আমির খসরু জানান- এই ছবি প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য হলো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের মধ্যে ৬ নম্বর অভীষ্ট অনুসারে সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেসন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয়ভাবে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে বাজেট বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এই ব্যবস্থাপনাকে আরো শক্তিশালী এবং বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার “ডেল্টা প্লান বা বদ্বীপ” পরিকল্পনা আগামী ১০০ বছরের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। প্রাথমিক টার্গেট হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০টি পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। যার অর্থ খরচ হবে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যা টাকায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার চেয়েও বেশী। বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় ছয়টি অঞ্চলে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নদীবিধৌত অঞ্চল ও নগর এলাকা।
এ ছাড়া বদ্বীপ পরিকল্পনায় বৃহৎ পরিসরে তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করা, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন। সার্বিক ব্যবস্থাপনাকে সামনে রেখে এই প্রদর্শনীটা খুব কাজে আসবে। তাছাড়া শহরের মানুষগুলো অনেক কিছুর সাথে পরিচিত না, তাও তারাঁ দেখতে পেল নদী বা পানির সাথে মানুষের জীবনযাত্রার কি সম্পর্ক তাও জানতে পেল।
শাপলা কন্যার ছবি দেখে মনে পড়ে সেই ছোটবেলার কথা, এমন করে শাপলা তুলতে যেতাম আমিও। হয়তো সেই শাপলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করিনি, তবে জীবনের কাজে লেগেছে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও পরিচ্ছন্ন পানি ও জলসম্পদ রক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য এই দিন বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেন। ২০০৩, ২০০৬ ও ২০০৯ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন বিশ্ব পানি দিবসেই প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- পানির সহজ প্রাপ্তি, টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি৷
ডরপ-এর মিডিয়া ম্যানেজার আ হ ম ফয়সল জানান, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ তথা জাতীসংঘের এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংগঠনগুলো কাজ করে যাচ্ছে। এ বাস্তবতায় ডরপ উপকূলীয় অঞ্চলসহ সংকটাপন্ন বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি নিয়ে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে বিভিন্ন স্থানের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার নানামুখী আলোকচিত্র সংগ্রহ করে জাতীয় পর্যায়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা, এটি ডরপ এর দ্বিতীয় আয়োজন। এবারের ‘জল ও জীবন’ শিরোনামের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ছবিগুলোর মাধ্যমে দেশের পানি ব্যাবস্থাপনার প্রকৃত চিত্র তুলে আনার চেষ্ট করা হয়েছে।
লেখক : কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক।
rbabygolpo710@gmail.com