শুরুতে কবি আবুল হাসানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবিতা আবৃত্তি করেন শুক্লা রায় এবং স্মৃতিচারণ করেন ড. মাহবুব হাসান, যুবায়ের হোসেন ও রাগীব আহসান। অকালপ্রয়াত এই কবির বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বক্তারা তার ব্যক্তিগত জীবনের নানান দিকও তুলে ধরেন।
এরপরে শুরু হয় স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। এই পর্বে অংশ নেন কুড়িজন কবি ও আবৃত্তিশিল্পী।
শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় একটি বিশেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ইওরোপের খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাস্ট ফিকশন এডিশন প্রকাশ করে “পোয়েমস অব কাজী জহিরুল ইসলাম”। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন অধ্যাপক ড. রাজীব ভৌমিক। অনুষ্ঠানে এই গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ড. রাজীব ভৌমিক জানান দুই মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই গ্রন্থটির ম্যানুস্ক্রিপ্ট তৈরী করি। আমি কবির একজন ভক্ত, দুই বছর ধরে নিয়মিত তার কবিতা পড়ছি। ভালো লাগা থেকেই সিদ্ধান্ত নিই তার কবিতা নিয়ে একটি বই করবো। সুখবর হচ্ছে এই বইটি এখন আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় জন জে’র পাঠ্যপুস্তক। এটি বাংলা কবিতার জন্য এক বিশাল অর্জন।
কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, এই প্রকাশনা এবং জন জে’র পাঠ্যপুস্তক হওয়া সবই ড. ভৌমিকের প্রচেষ্টার ফল। বাংলা কবিতাকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করানোর স্বপ্ন আছে তার মধ্যে, এটি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ। নাসরীন চৌধুরী, কুইন্স লাইব্রেরির ম্যানেজার আব্দুল্লাহ জাহিদ, ফেরদৌস নাজমী এবং মুক্তি জহির এই প্রকাশনা নিয়ে এবং জন জে’তে পাঠপুস্তক হিসেবে বইটির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
স্টার কাবাবের মালিক ঢাকা থিয়েটারের সাবেক কর্মী শিবলী নোমানী তার আমন্ত্রণে ঊনবাঙাল স্টার আড্ডায় আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
শেষ পর্যায়ে ড. আবেদীন কাদের বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়নে ঊনবাঙালের কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বক্তব্য প্রদান করে।
দেড় ঘন্টার আনুষ্ঠানিক সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ঘন্টাখানেক চলে অনানুষ্ঠানিক আড্ডা আর গরম গরম চা সিঙ্গারা খাওয়া। সেই আড্ডায় সামসময়িক রাজনীতি, বাংলাদেশের নির্বাচন, মোগল সাম্রাজ্য, তাজমহলের নির্মাণশৈলী, বাংলা শব্দভাণ্ডার এমনি নানান বিষয় নিয়ে জমে ওঠে মুখর আড্ডা। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় স্টার কাবাবের সৌজন্যে।
সূত্র : বদরুজ্জামান জামান