শিউল মনজুর ॥ বসন্তের শুরুতে ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি হয়ে গেলো গতকাল রাজধানী ঢাকায়। অনেক স্থানে শিশু কিশোর-কিশোরীরা শিলাবৃষ্টি কুড়িয়ে বা ছুঁয়ে বেশ আনন্দও করলো। শিলাবৃষ্টির তোপে বাংলা একাডেমির বইমেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেল। রাজধানী ঢাকা কিছুটা শীতল হলো বৈকি।
কিন্তু হঠাৎ এই শিলাবৃষ্টি প্রত্যক্ষ করে একজন মুরুব্বী বললেন এবার সারা দেশে ঝড় তুফান হবার সম্ভাবনা বেশি। কারণ এবার আমাদের দেশে সবজেলাতেই আম গাছে প্রচুর আমের মুকুল বা বউল এসেছে।
রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের আমই সুস্বাদু এবং দেশ বিদেশে ঐ দুই জেলার আম সবার নিকট পরিচিত। কিন্তু এ বছর রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ সহ সব জেলাতেই আমগাছে প্রচুর আমের মুকুল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে যে সব গাছে আম আসেনি সে সব গাছেও প্রচুর পরিমাণে আমের মুকুল ধরেছে।
অর্থ্যাৎ বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় যেখানেই আম গাছ সেখানেই ভরপুর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ বা সুবাস। সেই সাথে আম চাষিরাও ফলের রাজা আমের মুকুল রক্ষার জন্যে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে আম গাছ ও আমের মুকুলের যত্ন নিচ্ছেন। গাছে গাছে আম্র মুকুলের এমন দৃশ্য সবার নজর কাড়ে। মনের ভেতর আনন্দও জাগে।
অবশ্য দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আমগাছগুলোতে আমের মুকুল এর ব্যাপকতা দেখে মুরুব্বিরা ঝড়ের আশংকাই করছেন। তারা অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, যে বছর আমের মুকুল প্রচুর হয় সে বছর দেশে ঝড় তুফান বেশি হয়। দেশের আম গাছগুলোতে আমের প্রচুর মুকুল দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলেও মুরুব্বিদের অভিজ্ঞতাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তারপরেও সাধারণ মানুষ ঝড় তুফানের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নন।
অবশ্য ঝড় তুফানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেও আম ব্যবসায়ীরা আশা করছেন আগামী গ্রীস্মে আমের ভালো ফলন হবে। পাশাপাশি তারা একটু বেশি লাভেরও প্রত্যাশা করছেন। সাধারণ মানুষও স্বল্পমূল্যে বেশি বেশি আম খাবেন এটাই ভাবছেন।
লেখক : কবি ও কথা সাহিত্যিক।