ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়ার প্রশ্ন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কে নিলো?

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বগুড়ার উপনির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৫জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় খালেদা জিয়াকে প্রার্থী করার জন্য দলের একটি মনোনয়ন ফরম বুধবার সকালে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কাছে পাঠানো হয়। তিনি এই ফরমে স্বাক্ষর না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বিএনপি সূত্র থেকে জানা গেছে, কারাবিধি অনুযায়ী বিএনপি চেয়াপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া মনোনয়নপত্র দেখেই ক্ষুব্ধ হন।

ক্ষুব্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কে নিলো? আমি তো কিছুই জানি না। আমাকে কেন বিষয়টি জানানো হয়নি? এদিকে খালেদা জিয়া সম্মত না হওয়ায় এ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দলের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যেখানে চেয়ারপারসন নির্বাচন করতে আগ্রহী নন, সেখানে দল যাওয়াটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে? বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অধিকাংশই বগুড়া নির্বাচনে যাওয়ার বিপক্ষে বলে জানা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার বলেন, বেগম জিয়ার কাছে মনোনয়নপত্র পাঠানো হলেও তিনি তাতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি নির্বাচনে করতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন। শায়রুল কবির খান বলেন, বগুড়ার নেতাদের দাবির মুখে খালেদা জিয়ার নামে ফরম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ম্যাডাম ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে অসম্মতি জানায়। এ কারণে বাকী চারজনের মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন।

এদিকে সপ্তাহখানেক ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বগুড়া উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঠিক হবে কি-না জানতে চান। তবে সিনিয়র নেতাদের অধিকাংশই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। যদিও দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচনে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন তারেক রহমান। সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে স্কাইপির মাধ্যমে বৈঠক করেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেন। খালেদা জিয়াসহ দলের ৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র : ইনকিলাব

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts