বার্সার একি হলো?

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঘরোয়া মরশুমে ডাবল জয়ের স্বপ্ন বেনিতো ভিয়ামারিনে রেখে আসল বার্সেলোনা। শনিবার মেগা ফাইনালে মেসির বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে অষ্টমবারের জন্য কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন হল ভ্যালেন্সিয়া।

চোটের কারণে হাইভোল্টেজ ফাইনালে বার্সা একাদশে ছিলেন না ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ ও ওসমানে দেম্বেলে। কিন্তু সম্প্রতি টানা তৃতীয়বারের জন্য ইউরোপিয়ান গোল্ডেন সু ছিনিয়ে নেওয়া মেসিকে ঘিরেই প্রত্যাশার জাল বুনেছিলেন অনুরাগীরা। তবে সহজে ছাড়ার পাত্র ছিল না চলতি মরশুমে লা-লিগায় চতুর্থ স্থানাধিকারী ও ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালিস্টরা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের ক্ষত যে বার্সা শিবিরে এখনও দগদগে, তার প্রমাণ এদিনের মেগা ম্যাচ।

ঘরোয়া মরশুমে নবমবারের জন্য ক্লাবকে ডাবল খেতাব তুলে দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি লিও মেসি। কিন্তু অষ্টমবারের জন্য খেতাব ঘরে তুলতে মরিয়া ভ্যালেন্সিয়া কাতালান ক্লাবকে টেক্কা দেয় সব বিভাগেই। ম্যাচ শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই রড্রিগোর দুরন্ত প্রয়াস ততোধিক দুরন্ত দক্ষতায় গোললাইন সেভ করেন জেরার্ড পিকে। তবে গোল পেতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালিস্টদের। লুইস গায়ার পাস থেকে ২২ মিনিটে দুরন্ত শটে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার গ্যামেইরো।

কাতালান ক্লাবের হতাশা বাড়িয়ে ১১ মিনিট বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় লা-লিগার চতুর্থ স্থানাধিকারীরা। কার্লোস সোলারের ঠিকানা লেখা ক্রস এক্ষেত্রে হেডে জালে রাখেন রড্রিগো। দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসার একটা শেষ চেষ্টা করেছিল ৩০ বারের কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়নরা। মেসির একটি একক প্রচেষ্টা পোস্টে না লাগলে ব্যবধান কমতে পারত ৫৬ মিনিটেই। ৭৩ মিনিটে কর্ণার থেকে লেংলেটের হেড বিপক্ষ গোলরক্ষক প্রতিহত করলে ফিরতি বল জালে পাঠান মেসি। কিন্তু বার্সার ম্যাচ জয় বা ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য সে গোল যথেষ্ট ছিল না।

এরপর স্কোরলাইনে আর কোনও হেরফের না হওয়ায় মাথা নীচু করেই মাঠ ছাড়তে হয় ভালভের্দের ছেলেদের। অন্যদিকে ২০০৮ পর ফের ক্লাবকে মেজর কোনও ট্রফির স্বাদ দিয়ে ভ্যালেন্সিয়া অধিনায়ক জানান, ‘ভ্যালেন্সিয়ার মত ক্লাব এরকম আরও অনেক ট্রফি জয়ের ক্ষমতা রাখে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। এককথায় অসাধারণ।’

Print Friendly

Related Posts