মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী এবং দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজের কারণে এতদিন এ পথে মানুষজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যানজটে পড়ে একইস্থানে বসে থাকতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
বিগত সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বিশেষ করে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে টানা কয়েকদিন মহাসড়কের এ অংশে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কখনো সাড়ে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা আবার কখনো সারাদিন ব্যয় হতো এ ১৩ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে। কিন্তু এখন সেই ‘দুর্ভোগের’ ১৩ কিলোমিটার পার হতে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট!
গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু (১৪৩০ মিটার) এবং দ্বিতীয় মেঘনা সেতু (৯৩০ মিটার) উদ্বোধনের পর থেকেই স্বস্তিতে অল্প সময়ে গন্তব্যে ফিরতে পারছেন যাত্রীরা।
গত ছুটির দিনগুলোতে এ মহাসড়কে যানবাহনের বেশি চাপে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। মহাসড়কের দুইলেন জুড়ে গাড়িগুলোর দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকে শুক্রবার (৩১ মে) গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহাসড়কের এ অংশে ২৯ হাজার গাড়ি আসা যাওয়া করেছে বলে জানিয়েছেন ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন।
তিনি জানান, বিগত শুক্রবার গুলোতে মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকতো। যাত্রীদের দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হতো। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কিন্তু এখন সেই শুক্রবারেও মহাসড়ক ফাঁকা। গাড়িগুলো সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের মধ্যেই ১৩ কিলোমিটার অংশ পার হচ্ছে। গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো ধীরগতিও নেই, খুব অল্পসময় লাগছে। নতুন সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকেই এ চিত্র মহাসড়কের। মহাসড়কে রিকশা, ভ্যানসহ অবৈধ যান চলছে না। হাইওয়ে পুলিশ ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে।
যাত্রীরা জানায়, এ মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি যানবাহন যাতায়াত করে। এতোদিন মেঘনা-গোমতী ও মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পার হতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হতো। প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর যানজটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ঈদের আগে সেতুগুলো খুলে দেওয়ায় এখন আর যানজট নেই, তাই যাত্রীদেরও আনন্দের সীমা নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু এবং দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকেই যানজট নেই বললেই চলে। অল্পসময়ের মধ্যেই যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারছেন। মহাসড়কের পুরো এলাকার চিত্র এখন পাল্টে গেছে।
২৫ মে (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দু’টির উদ্বোধন করেন।