নিজস্ব প্রতিবেদক: আসছে ঈদুল আযহা, কোরবানি ঈদ। এ উপলক্ষ্যে ফ্রিজ ক্রেতাদের জন্য ‘মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছে বাংলাদেশী মাল্টিন্যাশনাল ব্র্র্যান্ড ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে এক মিলিয়ন বা দশ লাখ টাকা পেলেন চাঁদপুরের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জাকির।
কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন’ সিজন ফোরের আওতায় ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ১ জুলাই থেকে কোরবানি ঈদ পর্যন্ত দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা পেতে পারেন ক্রেতারা। এছাড়া রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা ফ্রিজ, টিভিসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
এরই আওতায় গত ২ জুলাই চাঁদপুর উত্তর মতলব উপজেলার নতুন বাজারে ওয়ালটনের এক্সকুসিভ শোরুম ‘সনি ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ২৬ হাজার ১’শ টাকা দিয়ে সাড়ে ১৫ সিএফটি’র একটি ফ্রিজ কেনেন পাঁচ আনি গ্রামের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জাকির। ফ্রিজটি কিনে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে তিনি তা রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার ফিরতি ম্যাসেজে পান তিনি। জীবনে প্রথম এতো টাকা পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা জাকির।
গত শনিবার (৬ জুলাই) উত্তর মতলবের নতুন বাজার ইসলামিয়া মার্কেটে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাকির হোসেনের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সেসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ আব্দুল কুদ্দুস, ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম, নোয়াখালী জোনের এরিয়া ম্যানেজার মো. জাহিদ হাসান, ফিল্ড ম্যানেজার মো. রায়হান এবং সনি ইলেকট্রনিক্সেও স্বত্ত্বাধিকারী মো. ইয়াছিন।
অনুষ্ঠানে মো. জাকির বলেন, “ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছি- এটা অকল্পনীয়। যখন ম্যাসেজ পাই, বিশ্বাস হচ্ছিল না। এমনকি দোকানের মালিক বলার পরও ভেবেছিলাম- হয়তো মজা করছেন। কেন না জীবনে কোনদিন শুনিনি, একটি ফ্রিজ কিনে কেউ এতো টাকা পেয়েছে। আল্লাহ আমার ভাগ্যেই যে এটা লিখে রেখেছেন তা বুঝিনি। সেজন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
তিনি জানান, অনেক দিন ধরেই ফ্রিজ কেনার কথা ভাছিলাম। প্রতিবেশীরা ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার পরামর্শ দেন। কেনার আগে কয়েকটি ব্র্যান্ডের শোরুমে গিয়ে নিজেও যাচাই করি। দেখলাম, ওয়ালটন ফ্রিজের দাম তুলনামূলক কম, দেখতেও সুন্দর। শুনলাম টেকেও অনেকদিন। সেজন্য ওয়ালটন ফ্রিজই কিনলাম।
মতলব উত্তরের উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এটা প্রমাণিত হলো যে, ওয়ালটন ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে। ওয়ালটনকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।’
উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আগের তিন সিজনে নতুন গাড়ি, আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমণের ফ্রি বিমান টিকিট ছাড়াও ক্রেতারা কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন ওয়ালটন পণ্য পেয়েছেন।
অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেলসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন। ওই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন।