নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এবার ১০ লাখ টাকা পেলেন বাগেরহাটের জাকির শেখ। পেশায় মাছচাষি জাকির গত ২৮ জুলাই কচুয়ার ‘সরদার ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে ১১ সিএফটির ওই ফ্রিজটি কেনেন। এরপরই তার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়ে যাওয়ায় জাকিরের ৫ সদস্যের পরিবারে আনন্দের বন্যা।
চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-ফোর এর আওতায় ফ্রিজ ক্রেতাদের এ অফার দিচ্ছে ওয়ালটন। যে কোনো মডেলের ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিংবা ফ্রিজার কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিনই ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আছে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক, টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি কিংবা নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুবিধা থাকছে ঈদুল আযহা পর্যন্ত। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ইতোমধ্যে ২০ জনেরও অধিক ক্রেতা মিলিয়নিয়ার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে জাকির শেখের কাছে ১০ লাখ টাকা হস্তান্তর করে ওয়ালটন। তার হাতে চেক তুলে দেন ওয়ালটনের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শিল্পপতি সরদার জাহিদ, কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান, কচুয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার নিয়াজ ইকবাল, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ এবং ‘সরদার ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্ত্বাধিকারী সরদার সুমনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, একটি ফ্রিজ কিনে মাছচাষি জাকির শেখের জীবনের গতিপথ বদলে গেলো। তার পরিবার এখন চলবে স্বাচ্ছন্দ্যে। সত্যিই অবিশ্বাস্য লাগছে আমার কাছে। ওয়ালটন সবসময়ই ক্রেতাবান্ধব। সবকিছুর আগে তাদের টার্গেট থাকে ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করা। ত্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ওয়ালটন শতভাগ রক্ষা করে।
জাকির শেখ বলেন, প্রতিবছর অন্যের জমিতে টাকার বিনিময়ে মাছ চাষ করি। অনেক কষ্টে সংসার চলে। সেই আমিই কিনা ১০ লাখ টাকার মালিক। আল্লাহর রহমতে নিজের সংসার নিয়ে আর টেনশন থাকাবে না। আমার জীবন পরিবর্তন করে দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।