নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় ফ্রিজ বাজারে ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে মার্সেলের লাখপতি শীর্ষক ক্যাম্পেইন। সেজন্য চলতি বছর দেশীয় ব্র্যান্ডটির ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। এরই প্রেক্ষিতে ক্রেতাদের জন্য ‘ফ্রিজ কিনে লাখপতি’ হওয়ার সুযোগ আরো এক মাস বাড়িয়েছে মার্সেল। ফলে মার্সেল ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতারা প্রতিদিনই এক লাখ টাকা পেতে পারেন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
জানা গেছে, ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ১ জুলাই ক্রেতাদের জন্য ‘ফ্রিজ কিনে লাখপতি’ সুবিধা ঘোষণা করেছিল মার্সেল। এর আওতায় গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতারা লাখ টাকার পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা মার্সেলের ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি’র পাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। মেয়াদ বাড়ানোর ফলে মার্সেল ফ্রিজের ক্রেতারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাবেন এসব সুবিধা।
সূত্রমতে, বিক্রয়োত্তর সেবাকে অনলাইনের আওতায় আনার লক্ষে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। সেজন্য সারা দেশে চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এখন চলছে সিজন ফোর। এর আওতায় দেশের যে কোনো মার্সেল শোরুম থেকে পণ্য কিনে ক্রেতার মোবাইল নম্বর দিয়ে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। এতে করে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রæত কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অসংখ্য সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল।
মার্সেলের নির্বাহী পরিচালক ও হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, স্থানীয় বাজারে ফ্রিজ ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে লাখপতি শীর্ষক ক্যাম্পেইন। ফলে, ঈদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে মার্সেলের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ফ্রিজ বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭১ শতাংশ। ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেয়ায় ফ্রিজের বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনি ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়াও আরো গতিশীল হয়েছে।
মার্সেলের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নাসিমা আক্তার নীলা বলেন, লাখপতি ক্যাম্পেইনের আওতায় কোরবানি ঈদের আগে ও পরে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা করে পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। এদের মধ্যে রয়েছেনঃ বি-বাড়িয়ার নবী নগরে আমজাদ হোসেন, নরসিংদীর রায়পুরে মো. মানিক মিয়া, জামালপুরের মাদারগঞ্জে শাহনাজ পারভীন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মো. শাহরুল ইসলাম, ভোলার তাজুমুদ্দিনে কালি রানী দাস, নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জে মোহাম্মদ বাবুল ও নড়াইলের লোহাগড়ায় কাজী আসিফ উল হক। এছাড়া হাজার হাজার ক্রেতা বিভিন্ন অঙ্কের ক্যাশ ভাউচার কিম্বা মার্সেলের ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অসংখ্য ধরণের পণ্য ফ্রি পেয়েছেন।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের আওতায় রোজার ঈদের আগেও মার্সেল ফ্রিজ কিনে নতুন গাড়ি, লক্ষ লক্ষ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও হাজার হাজার ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ফ্রি পেয়েছেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ গুণগতমানের আত্মবিশ্বাসে মার্সেল ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার থেকে ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা।
এদিকে মার্সেল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চলতি সেপ্টেম্বরকে ‘গ্রাহক সেবা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করা। এই উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- দ্রুত ও সর্বোত্তম সেবার প্রদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন, গ্রাহকদের মধ্যে সার্ভিসের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সার্ভিস প্রোভাইডার ও গ্রাহকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সার্ভিস এক্সপার্টদের প্রেরণা দেয়া ইত্যাদি।
#