এই চৈত্র দহনে দিলাম ছুটি, কি?
পারবে না থাকতে, মোটামুটি?
বড়-বড় থাকা বৈশাখে হবে
বড্ড পুড়ছে ভেতরে ভেতরে
সূর্য দাঁড়িয়েছে রাস্তার মোড়ে
আকাশে দহন, মাটিতে দহন
বৃক্ষে দহন, দহন লেগেছে ফুলে
এখন তোমার অধর রেখো না খুলে!
এই চৈত্রে থাক, চোখের অবকাশ
কি? পারবে না বাঁচাতে, দৃষ্টিবিনাশ
বড্ড ভাঙছে ভেতরে-ভেতরে
ভাঙার জন্য দুপুর জাগছে ভোরে।
আঙুলে ভাঙন, পাঁজরে ভাঙন
কপালে ভাঙন, ভাঙন লেগেছে ঠোঁটে
ভাঙতে ভাঙতে, ফুলেও পাথর ফোটে
আলোয় ভাঙন, ছায়ায় ভাঙন
বাতাসে ভাঙন, ভাঙন উড়ছে চুলে
এখন তোমার সাঁতার, বেধো না কূলে
এই চৈত্রে দিলাম আঙুলের অবসর
কি? পারবে না থাকতে
বুকে-বুকে পরস্পর!
জোয়ারে দহন, ভাঁটিতে দহন
ঝিনুকে দহন, দহনে মুক্তো পোড়ে
এবার তোমার অনামিকা দেবো-
আগুন ফসলে গড়ে!