নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’। শীতকে ঘিরে চলছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫। এর আওতায় যেকোনো মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে রয়েছে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ওয়ালটন ফ্রিজের অসংখ্য ক্রেতা পেয়েছেন এই সুবিধা। তাদের মধ্যে একজন খুলনার ফজলুল হক। ওই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ওয়ালটনের স্মার্ট এয়ার কন্ডিশনার কিনেছেন বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মী ফজলুল।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খুলনা সরকারি মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফজলুল হকের কাছে ২০০% ক্যাশ ভাউচার হস্তান্তর করা হয়। ওয়ালটনের পক্ষে তার হাতে ক্যাশ ভাউচার এবং ওই টাকায় কেনা স্মার্ট এসি তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিন জামান পন, সরকারি মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, খুলনা সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
চিত্রনায়ক ইমন বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলোকে হটিয়ে ওয়ালটন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড। সবার ঘরে ঘরে এখন ওয়ালটন পণ্য। ক্রেতাদের হাতে উচ্চমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি ২০০% ক্যাশ ভাউচারসহ অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। যার ফলে ক্রেতারা এখন ওয়ালটন ছাড়া আর কোনো ব্র্যান্ডের কথা ভাবছেন না।
ক্রেতা ফজলুল হক জানান, তার বাড়ি খুলনার ফুলতলার শিরোমনি শ্যামগঞ্জ গ্রামে। সম্প্রতি তিনি দৌলতপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২৪৮ লিটারের একটি ফ্রস্ট ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে সেটি রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০% ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। সেই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ওয়ালটনেরই ১.৫ টনের স্মার্ট এসি কিনেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্য মানের দিক থেকে অনেক উন্নত, দামেও সাশ্রয়ী। আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামের প্রায় সবার ঘরেই ওয়ালটনের ফ্রিজ। সবাই ভালো সার্ভিস পাচ্ছে। তাই, ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছি। কেনার সময় ২০০% ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ আছে বলে জানতে পারি। এতো বিশাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একজন জনপ্রিয় নায়কের হাত থেকে ক্যাশ ভাউচার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এজন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ। দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনে eplaza.waltonbd.com থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও রয়েছে ২০০% ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস পয়েন্ট। উৎপাদনের পর বাংলাদেশ এক্রিডিয়েশন বোর্ড (বিএবি) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউটিএইচ ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়।
উল্লেখ্য, এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিংয়ে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআই এর ফাইভ স্টার রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। এরই প্রেক্ষিতে দেশের গন্ডী পেরিয়ে ২৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ।
#
ছবি: খুলনার ফজলুল হকের হাতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ২০০% ক্যাশ ভাউচার তুলে দিচ্ছেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।