প্রসূন রায়
মানুষ দায়িত্বশীল সামাজিক জীব। চিরাচরিত সামাজিকতার বাইরে আমাদের মনুষ্য সত্ত্বার জনকল্যানমুখী এবং উপযোগী যেসব দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে এগুলোর ভিতর মানবকূলের অস্তিত্ব রক্ষা যেমন আবশ্যক, তেমনি একটি অতি প্রয়োজনীয় জীবনভিত্তিক দায়িত্ববোধের উপাদান হলো চলমান সমাজধারার একটি সুস্থ অবয়ব তৈরীতে ভূমিকা রাখা।
আমাদের অনাগত অস্তিত্ব রক্ষার্থে আমরা সন্তানাদি জন্ম দেই। কিন্তু আমরা যদি আমাদের সন্তানদের যথার্থভাবে লালনপালন এবং প্রকৃত শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারি তবে আমাদের অবর্তমানে যে সমাজ ব্যবস্থার উত্থান ঘটবে সেটার কদর্যতা উপলব্ধি করতে খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা নয়।
বিশ্বায়নের এই অবারিত তথ্য স্বাধীনতার যুগে আমরা নিশ্চয়ই এক সময়কার তথাকথিত পরিশীলিত, পরিমার্জিত আর নৈতিকতায় ভরপুর একটি সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থা বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে আশা করতে পারি না। কিন্তু সমাজ কিংবা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এখনো যে সব বিষয়গুলোকে সুষ্ঠু জ্ঞান চর্চার অমোঘ মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, অর্থাৎ যেসব মাধ্যমগুলো আমাদের শিশু কিশোর তথা যুবক এবং সাধারণ মানুষের দিক নির্দেশনামূলক আলোকবর্তিকার ন্যায় কিংবা সমাজ সংস্কার অথবা সামাজিক ভালো মন্দের অন্তত একটি ব্যালান্সড ফ্যাক্টর হিসাবে ভূমিকা রাখতে পারে, আমাদের অবশ্যই সেগুলো নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
এই ক্ষেত্রে শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক নৈতিক শিক্ষা, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় আর যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষা ইত্যাদি যেমন অতি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ তেমনি সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো উল্টো পথে চলা আমাদের জাতীয় তথা তৃণমূল সংস্কৃতির সহনীয় একটা পরিবর্তন। পাশ্চাত্যের আকাশ সংস্কৃতির সমুদ্র কিনারা ধরে চলমান এই দুরন্ত য্বুব সমাজের পথ পরিবর্তন করতে আমরা যদি ব্যর্থ হই তবে যে কোনো মূহুর্তেই অজানা গহীন খাদে বিলীন হয়ে যেতে পারে আমাদের হাজার বছরের আবহমানকালের বাঙ্গালীর নামক জাতিসত্তার এই অস্তিত্ব। এইসব আলোচিত বিষয়াদির বাইরেও যে মহান মানবীয় বিষয়টি আমাদের শিশু-কিশোর যুব সমাজকে প্রজ্ঞা, সজ্ঞা আর মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে সেই মহাস্ত্রটির নাম হলো বই। এই বই পঠনতত্ত্বের উপর কিছু কথা বলা আজ অত্যন্ত জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
সন্দেহাতীতভাবে বিদ্যা, বৈভব, সম্মান আর তথাকথিত বর্তমান সামাজিক শক্ত ভিত্তির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হলো এই বই । এটা অনস্বীকার্য যে, কেউ এই বই পড়ে হয় বড় বড় সরকারি কর্মকর্তা, তো অন্য কেউ হয় সনামধন্য চিকিৎসাবিদ কিংবা জগৎ বিখ্যাত প্রকৌশলী। কেউ কেউ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় হয়ে বনে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষক। আবার এগুলোকে জীবনে একান্তভাবে ধারণ করে কেউ বা হন কবি-সাহিত্যিক। তবে অন্য আলোকে আমরা সাধারণ মানুষ এবং উপরোক্ত সম্প্রদায় আমাদের সবার এতদসংক্রান্ত বই বিষয়ক একটি কমন পরিচয় রয়েছে এবং সেটি হলো আমরা সবাই পাঠক। আমরা কেউ উপন্যাস,কবিতা কিংবা প্রবন্ধ পড়ি, আবার কেউ বা ধর্মীয়, রাজনৈতিক,রসাত্ববোধক কিংবা ভ্রমনকাহিনী পড়তে স্বাচ্ছন্দবোধ করে থাকি। আজ আমার এই লেখনির উপজীব্য হলো পঠনতত্ত্বের বিবেচ্য সূক্ষ্ম আর স্থুল উপাদানগুলির সঙ্গে উপরে বর্ণিত শিশু-কিশোর-যুব-বয়স্ক তথা সামষ্টিক সমাজব্যবস্থার রাসায়নিক যোগসূত্রগুলো ।
প্রায় বিগত তিন দশক ধরে ভার্চ্যুয়াল জগতের সৃষ্টিময় বিস্ফোরণে আমাদের বৈশ্বিক জীবন ব্যবস্থায় ক্রমাগত যে মনোদৌহিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে, সেটা অস্বীকারের কোনো অবকাশ নেই। এক দিকে যেমন হাতে হাতে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন, নোট প্যাড আর ল্যাপটপের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে রিমোটের এক চাপে ঘরে বসেই আমরা টেলিভিশন সেটের মাধ্যমে দেখে নিতে পারছি প্রায় সারা পৃথিবীর কয়েকশত চ্যানেল। ইউটিউব, হোয়াটস অ্যাপ , ভাইবার, ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইনের ন্যায় এরূপ বিজ্ঞানভিত্তিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিভাইসের মাধ্যমে সেকেন্ডের ব্যবধানে অনায়াসে আমরা সমগ্র বিশ্বের একাল আর সেকালের প্রায় সবকিছুতেই হরহামেশা প্রবেশাধিকার পাচ্ছি। এইসব সৃজনশীল সৃষ্টি সুনিশ্চিতভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থাকে করেছে অনেক সহজ এবং আরামদায়ক। কিন্তু সমান্তরালভাবে এগুলোর উপর অতিনির্ভরতা আমাদেরকে দিন দিন করে তুলেছে অসামাজিক এবং কখনো কখনো অমানবিক আর স্বার্থপর। আমাদের সন্তানরা আজ খোলামাঠে খেলাধুলা করার বিষয়টি যেন আস্তে আস্তে ভুলেই যাচ্ছে। পিতামাতা, ভাই বোন, আত্মীয়স্বজনের সহাবস্থান ত্যাগ করে এগুলোই যেন হয়ে উঠেছে আজকালকার একমাত্র বিনোদন ব্যবস্থা ।
অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে আমরা তো বই পড়ার কথা প্রায় ভুলেই গেছি। আমরা যখন ছোটবেলায় স্কুল কলেজে একে অপরকে কিংবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে বই দেওয়ার যে মহান সংস্কৃতি ছিলো, এই প্রজন্ম হয়তো সেটা সম্পর্কে ওয়াকিবহালই নয়। বইপড়ার নির্মল আর পরিশুদ্ধ আনন্দের স্বাদ তারা হয়তো কোনোদিন পাওয়ার চেষ্টাও করে নাই। এই প্রচেষ্টাই বা করবে কেমন করে ? জন্মের পর থেকেই তো এরা দেখতে অভ্যস্ত যে তাদের বাবা মা থেকে চারপাশের সবাই পড়ে আছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ফেসবুক আর টুইটার নিয়ে।
আমরা যে এই আলো আঁধারের মহাঘোরের ভিতর ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাচ্ছি সেদিকে কারোরই যেন কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। বই পড়া শুধু যে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই নয়, বরং আমাদের মানব শরীরের বিজ্ঞান ভিত্তিক জীনগত ভারসাম্য রক্ষার জন্যও প্রযোজ্য, সেটা আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই হয়তো অজানা।
সত্য কথা বলতে কি, বই পড়ার কোনো লক্ষনীয় খারাপ দিক খুঁজে পাওয়া রীতিমত দুষ্কর । বই বলতে নিশ্চয়ই মননশীল আর রুচিসম্মত ভালো বইকেই বুঝায় । এটি যেমন পাঠককে আনন্দ আর বিনোদনের খোরাক যোগায়, তেমনি নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এই সুন্দরতম অভ্যাসটি আমাদের ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যেকোন বিষয়ের উপর ফোকাস এবং প্রয়োজনের সময় সমাজ সংসারের প্রতি সংবেদনশীল এবং সহানুভূতিশীল হতে শেখায়। বই পাঠক সমাজকে সৃজনশীল এবং আত্মবিশ্বাসী হতে শেখায়। এই অভ্যাস একজন বিপথগামী কিংবা অস্থির চঞ্চল ব্যক্তিকে জীবনের স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একটি ভালো বইয়ের বিষয়বস্তু মানুষের ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগ্রত করে এবং পারিবারিক বন্ধনকে অটুট রাখতে অনেক বড় একটা অনুঘটকের কাজ করে। তাই সংক্ষেপে বলা যেতে পারে, নিয়মিত বস্তুনিষ্ঠ আর গঠনগত বই পড়ার অভ্যাস একজন পাঠককে প্রকৃত মানবীয় গুনসম্পন্ন মানুষ হয়ে বিকশিত হওয়ার জন্য অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
এবার আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়ে এই বই না পড়ার সংস্কৃতির এক ভয়ংকর এবং নেতিবাচক বৈজ্ঞানিক তথ্যাদির বিষয়ে কিছু কথা বলি। একবিংশ শতাব্দিতে মস্তিস্ক বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর উত্তানের ফলে বিজ্ঞানীরা আমাদের এ ব্যাপারে নতুন নতুন তথ্য সরবরাহ করছেন। সাম্প্রতিককালে আমেরিকা এবং স্ইুডেনের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বর্তমান প্রজন্মের এই বই বিমূখতার উপর বিস্তর গবেষণা করেছেন।
তাদের ভাষ্যমতে, অতিমাত্রিক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আসক্তি শিশু কিশোরদের যেমন স্থূলতা রোগে ভোগাচ্ছে, তেমনি তারা একধরণের মস্তিস্ক জনিত খারাপ সিনড্রোমে আক্রান্ত করছে। বাচ্চারা যেমন একদিকে অবষন্নতায় নিমগ্ন হচ্ছে ঠিক তেমনি তারা এক ধরণের ভয়ংকর স্বার্থপর হয়ে বেড়ে উঠছে। তাদের গবেষণায় এর থেকেও যে ভয়ংকর সত্য বেরিয়ে আসছে সেটা বর্তমানের মেধাভিত্তিক নলেজ ইকনমির এই বিশ্বায়নের জন্য এক ভয়াল আঘাতও বটে। এমনটি যদি সত্য হয় তবে আমাদের মানবজাতির মেধা ভিত্তিক বিপর্যয় থেকে আমরা খুব বেশী দূরে নাই।
বিষয়টি খোলাসা করি। গবেষকদের মতে পাঁচ থেকে সাত হাজার বছর আগে আমাদের দূর অতীতের পূর্বপুরুষেরা যখন প্রথম অক্ষর কিংবা এরূপ সাংকেতিক লেখার জন্ম দেয় তখন থেকে ধীরে ধীরে আমাদের মস্তিস্কের ভিতর নতুন একধরনের জীনগত পরিবর্তনের শুরু হয়। এ ব্যাপারে একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে। আমরা বইতে যখন কোনো শব্দ পড়ি যেমন ধরুন সাদা কিংবা সবুজ তখন আমাদের মস্তিস্কের ব্রেইনের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সাদা সবুজ কিংবা এরূপ সংশ্লিষ্ট শব্দের বাস্তবিক অবয়বটি আমাদের মনজগতে ভেসে ওঠে। এমনটি করে বইতে লেখা জাহাজ কিংবা নৌকা পড়তেই আমাদের অজান্তেই সেগুলো আমাদের ব্রেইনে প্রতিচ্ছবি আকারে উদিত হয়। এটি কিন্তু আমাদের প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতায় অক্ষর জ্ঞানের আগে আমাদের মস্তিস্কের এই সক্ষমতা ছিলো না । সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণীকূলে একমাত্র মানুষই এই গুনটি রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে ।
এখন প্রশ্ন হলো, আমরা যদি ধীরে ধীরে পাঠক সমাজ ইউটিউব কিংবা টেলিভিশনের শ্রতা আর দর্শককে পরিণত হই, তবে আমাদের হাজার বছরের অর্জিত এই জীনগত সক্ষমতার কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পেতে একসময় বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যেতে পারে। ফলশ্রুতিতে সৃজনশীলতার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রটিও সংকুচিত হতে হতে আমাদের আবারো সভ্যতার পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার জোর সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে ।
বই প্রসঙ্গে আলোচনা করলে এর পাঠ্য মাধ্যমের ব্যাপারেও কিছুটা আলোচনা প্রয়োজন। ইন্টারনেট কিংবা ই কর্মাসের এই যুগে উন্নত বিশ্বে বই পড়ার প্রচলিত ধারার সুষ্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষনীয়। মানুষ এখন সাধারণত ই-বুকের দিকে বেশী করে ঝুঁকে পড়ছে। চলতি পথে কিংবা অফিসের ফাঁকে মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিংবা নিজের নোট প্যাড বা ল্যাপটপেই অনলাইনের মাধ্যমে পড়ার কাজটি সেরে ফেলতে ক্রমাগত অভ্যস্থ হয়ে উঠছে।
যদিও বিগত দেড় দুই দশক ধরে বহুলভাবেই বলা হচ্ছিল যে খুব দ্রুতই প্রিন্টিং শিল্পের অবলুপ্তি ঘটবে। আমাদের কারনটি বুঝতে কারোরই বেশী সময় লাগার কথা নয়। ইন্টারনেটের বদৌলতে যখন সব কিছুই আমাদের মোবাইল সেট কিংবা ল্যাপটপ-কম্পিউটারের ভিতর পাওয়া যাচ্ছে, তবে সেখানে বই সহ সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এবং এতদসংক্রান্ত কাগজের তৈরী ভৌত দ্রবাদির প্রয়োজন কোথায়। তবুও আমরা এখনো সৌভাগ্যবান যে চাহিদা কিংবা উপযোগিতা কিছুটা কমে গেলেও এগুলো এখনো বহুল তবিয়তে টিকে আছে। বিনোদনের এই পুরনো অভ্যাসকে মানুষ এখনো সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করতে পারে নাই।
এতকিছুর পরও মানবকূল একটি আশাবাদী জাতিসত্তার স্বকীয়তা ধারন করেই আজ এ পর্যন্ত এসেছে। তাই বলা হয়ে থাকে, মানুষ তার আশার ন্যায় বাঁচে। আমাদের বই পড়ার এই চিরন্তন চেতনা আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে অবশ্যই এটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এ ব্যাপারে পাঠকদের গুটি কতক নির্দেশনা লেখাটির সংঙ্গে সংযুক্ত করা যৌক্তিক মনে করলাম। প্রথমত প্রতিদিন পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় এবং একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা বের করাটা আবশ্যিক। পরবর্তীতে ক্রমান্নয়ে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে পড়ার জগৎটাকে সম্প্রসারিত করতে হবে। গল্প কিংবা কবিতার বইয়ের বাইরেও তাকে ধীরে ধীরে প্রবন্ধ, উপন্যাসের দিকে ঝুঁকতে হবে। একটা পর্যায়ে যখন এটি অভ্যাসে পরিণত হবে তখন একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সুনির্দিষ্ট সংখ্যক বই কিংবা পড়া আত্মস্থ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ হতে হবে। এমনি করেই আমরা যেমন বর্তমান প্রজন্মতো বটেই, সেই সঙ্গে নিজেদেরও এই মহান কার্যে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবো।
আসুন আমরা সবাই বই পড়ার ব্যাপারে নিজেরা মনোযোগী হই, অন্যদের সচেতন করি এবং সর্বপরি আমাদের সন্তান ও নতুন প্রজন্মকে এ ব্যাপারে উদ্ভুদ্ধ করি। এর ফলে বর্তমান প্রজন্ম এবং সমাজব্যবস্থা উভয়ই যেমন উপকৃত হবে তেমনি এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপদগামীতার বিরুদ্ধে একটি অন্যতম সুরক্ষা কবচ হিসাবেও বিবেচিত হবে।
প্রসূন রায়: ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রো ইনফো এন্ড এডু কনস্যালটেন্ট।