শি উ ল ম ন জু র
আশায় হতাশায় তোমার অনুগ্রহ ও ভালোবাসা পাবার বাসনায় এই ক্ষুদ্র হাত দুটি তুলেছি আবারো আজ তোমার দিকে,
তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা,
তুমি আমার পালনকর্তা,
দৃশ্যমান অদৃশ্যমান বিশ্ব ভূবনের মালিক;
বুঝে না বুঝে
জেনে না জেনে
তোমার বিধান অবহেলা করে করে
প্রতিনিয়ত গোনাহের খাতাকে ভারি করেছি প্রভু।
এই জীবন চলার পথে হাঁটতে হাঁটতে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে তোমার পথ থেকে পিছলে চলে গেছি ভিন্ন পথে বহুবার। কখনো তোমাকে ভুলে,
কখনো তোমাকে মনে রেখেও লোভে পড়ে-
ভুলপথে চলে গেছি।
তবু তোমার দয়ায় ভালোবাসায় রহমতের ছোঁয়ায়,
তোমার কাছেই ফিরে এসেছি আবার।
প্রার্থণায় প্রার্থণায় আবেগে অনুভবে কেঁদে কেঁদে
তোমার কাছেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।
তুমি এই ক্ষুদ্র হাত দুটিকে কবুল করেছো বারবার, আমাকে ক্ষমা করে নিষ্পাপ করে দিয়েছো। আমি আবারো সহজ জীবনে হেঁটে গেছি তোমারই ছায়া ও মায়া নিয়ে বহুদূর।
যেতে যেতে চলতে চলতে আবারো,
পথ হারিয়ে দিগভ্রান্ত হয়েছি।
বিপদ সমুদ্রে পতিত হয়ে চেয়ে দেখি নিজের দিকে আজ, গুনাহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি পুনর্বার।
পবিত্র কোরানের প্রাত্যহিক আলো থেকে
দূর থেকে দূরে চলে এসেছি।
মসজিদের আজানধ্বনি থেকে ছুটে গেছে এই পথ হারা মন।
অজপাড়াগাঁয়ের ছেলে আমি, আকাশ পথে আর পিচঢালা পথে সকাল সন্ধ্যা ছুটতে ছুটতে ভুলে গেছি ছায়াডাকা মায়ামাখা মায়ের ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে ওঠা আমার সবুজ গ্রাম।
আজ বিশ্বজুড়ে দশদিকে যখন,
বিপদের ঘন্টাধ্বনি বেজে চলেছে অবিরাম প্রভু,
তখন তোমাকেই মনে পড়ে গেলো আবার,
তোমাকে ভুলে, ভুলপথে এসে তোমার কাছে করজোড়ে তুলেছি এই ক্ষুদ্র দুটি হাত, পুনর্বার।
সর্বশক্তিমান, অন্তর্যামী তুমি,
গুনাহগার বান্দা আমি,
এই ক্ষুদ্র দুটি হাতের দিকে তাকিয়ে
লক্ষকোটি তওবা ও বিনীত প্রার্থনা কবুল করে নাও;
তোমার রহমতের বিশাল ভান্ডার থেকে একফালি জ্যোৎস্নার আলো এই দরিয়ায় ছড়িয়ে দাও-
শান্তির ফুল ফুটুক পৃথিবীর পথে পথে,
বিশ্বমঞ্চ শিশুদের নিষ্পাপ হাসিতে পূর্ণতা পাক আবার।