বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাস আঘাত হানতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ, ৩১টি নির্দেশনা, বিশেষ করে সকল পর্যায়কে সম্পৃক্ত করে জেলা প্রশাসকদের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তদারকী ও জবাবদিহীতায় এনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন।
প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণে ভিডিও কনফারেন্স একটি মডেল হিসেবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য কার্যকর করার জন্য দাবী জানিয়েছেন বিশিষ্ট উন্নয়ন সংগঠক ও মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং স্বপ্ন প্যাকেজ প্রবর্তনকারী সংগঠন- র্ডপ এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) তিনি গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, করোনা প্রসূত উদ্ভাবিত মডেলটি জেলা প্রশাসনসহ বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা একটি ছাতা আওতায় কাজ করবেন। ছাতা প্রধানের নাম হবে ‘জেলা সেবক’। ‘জেলা সেবক’ হবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যিনি জেলার নির্বাচিত প্রতিনিধি। এই জেলা সেবক পরিষদের সাচিবিক দায়িত্বে থাকবেন- তার পদবী হবে ‘প্রধান সঞ্চালক’। ‘প্রধান সঞ্চালক’ হবেন জেলা প্রশাসক। জেলায় কর্মরত বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা সেবক পরিষদ সঞ্চালক সদস্য থাকবেন।
জনাব নোমান বলেন, প্রত্যেক জেলায়, জেলা সেবক আওতায় স্থানীয় সরকার প্রাধান্যে কার্যক্রমসমূহ পরিচালিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাগীয় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, প্রাণী সম্পদ, পানি সম্পদ, সমবায়-বিআরডিবি, পিকেএসএফ-এনজিও ইত্যাদি প্রতিনিধিগন জেলা সেবকের আওতায় ন্যস্ত থাকবে। জেলা সরকার (পরিষদ) কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিত ও স্ব-শাসিত বিধি, নীতি ও পন্থায় বাস্তবায়ন জবাবদিহীতায় থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার তদারকী করবেন।
এএইচএম নোমান পূর্ব অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশ পুনর্গঠনকাল নোয়াখালী জেলায় ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জনাব আজিজুর রহমান (এসডিও) মহকুমা প্রশাসক (নোয়াখালী) সাহেবের অফিস কক্ষে আমরা মুক্তিযোদ্ধা, সমবায়ী, রাজনীতিক যারা কৃষি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত ছিলাম সবাইকে নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় আসে যে, ‘‘আমরা ব্রিটিশকে তাড়িয়েছি, পাকিস্তানকে তাড়িয়েছি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।
প্রস্তাব হয় যে, আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, জনকল্যাণ ও সেবামুখী হতে হবে। এ প্রেক্ষিতে বিস্তারিত আলোচনায় মহকুমা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক নাম পদবী’র পরিবর্তে স্বাধীন মুক্ত চিন্তা চেতনার প্রতীক যথাক্রমে মহকুমা সেবক ও জেলা সেবক পদবী হবে। এসডিও সাহেবও বলেন যে, আমরা জনগণের খাজনায় চাকরী করি। তাই বঙ্গবন্ধুর সৃষ্ট বাংলাদেশে জনগণের সেবা ও কল্যাণই হবে আমাদের মূল কাজ।’’ করোনা কালে এখন সময় এসেছে ঘুরে দাড়ানোর। প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ অত্যাবশ্যকীয়।
এএইচএম নোমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশটাকে শুধু এগিয়ে নিচ্ছেন নয় বরং মডেল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করে দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বকে এক করে ফেলেছে। গেরিলা উৎপাদন যুদ্ধের সাথে বিকেন্দ্রিক প্রশাসনিক কল্যাণমুখী সেবা উন্নয়ন জানালা-দরজা তৈরী করতে হবে। পৃথিবীটাকে মাথা উঁচু করে আবার দেখিয়ে দেয়ার সময় এখনই। প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ব্যবহারিক বিকেন্দ্রীকরণ করাই হবে মুজিব বর্ষের গ্রাম বাংলা জেলার জন্য সেরা উপহার।
তিনি বলেন, ঋণ কার্যক্রম মন্দা ঠেকাতে ২০০৯-১০ সালে সারা দেশে প্রমানিত। তাই দুযোর্গ মোকাবেলায় এবার এনজিও বিষয়ক ব্যুারো, সমবায়-বিআরডিবি, পিকেএসএফ-এনজিও ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রদত্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম লেনদেনে নমনীয়/প্রণদনা কার্যকর নীতি প্রদান করা এখন সময়ের দাবী।
এএইচএম নোমান বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা জাল আওতায় উন্নয়ন বটম লাইনিং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও তৎকেন্দ্রিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, জীবিকায়ণ কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ প্লাস সম্বলিত স্বপ্ন প্যাকেজ, এসডিজি ১নং এজেন্ডা দারিদ্র বিমোচন লক্ষ্যে একের ভিতর সতের ধরে ১ লক্ষ মা’কে টার্গেট করে এক প্রজন্ম ২০ বছর দীর্ঘ মেয়াদী স্বপ্ন প্যাকেজ মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত এভিডেন্স বেইজড সফল কর্মসূচী বাস্তবায়ন অব্যহত রাখতে হবে।