“আমি যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা। শারীরিকভাবে এখন আর রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই তা কার্যকর হবে।”
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত শমসের মবিন চৌধুরী ছিলেন পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বে। নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েকবছর ধরে তিনি বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছিই ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর চাকরি মেয়াদ শেষে করে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে যোগ দেন শমসের মবিন চৌধুরী। সে সময় চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির কাউন্সিল হলে শমসের মবিনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি ও শরিকদের টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সেনাবাহিনী থেকে কূটনীতিক বনে যাওয়া শমসের মবিন। পরে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়।
প্রোস্টেট ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “চিকিৎসার জন্য আমার বিদেশে যাওয়া জরুরি। এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। হাতে পেলেই যেতে চাই।”