ঝুঁকি নিয়েও কর্মস্থলে হাজারো পোশাক শ্রমিক

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে সাভার ও আশুলিয়ার বেশ কিছু গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় শ্রমিকরা দলে দলে কারখানায় প্রবেশ করে তাদের কাজ শুরু করেছে।

দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকার গার্মেন্টস কারখানা। শ্রমিকদের দাবি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন তারা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের মধ্যে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ায় তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন এই আশঙ্কার মধ্যেও তারা কারখানায় যাওয়া শুরু করেছেন। অন্যদিকে মালিকপক্ষের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তারা কারখানা খুলে দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও মার্চ মাসের বেতন না দেওয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সাভারের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে অবস্থিত আকতার ফার্নিশার্স লিমিটেড কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে শ্রমিকরা।

তারা জানায়, ওই ফার্নিচার কারখানায় কাজ করে কয়েক হাজার শ্রমিক। মার্চ মাসের বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে কারখানাটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিলে তারা চলে যায়।

অন্যদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে সাভারের হেমায়েতপুরে স্কেল ফ্যাশান, সামাইর এলাকায় সততা এন্ড এ্যাম্বডায়রি লিমিটেড ও দোসাইদ এলাকায় রক ফ্যাশন গার্মেন্টস শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গাজীপুরেও ভোগান্তি আর করোনা ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরেছেন শ্রমিকরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশা ও ভ্যানে কিংবা পায়ে হেঁটে নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রবেশ করছেন এসব পোশাক শ্রমিকরা। সকাল থেকে আগের মতই তাদের কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে।

লকডাউনের মধ্যেই শ্রমিকরা কাজে ফেরায় স্থানীয়দের অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশ গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা লকডাউন কার্যকর রয়েছে।

এই অবস্থায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের প্রবেশ, সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জে লকডাউন চললেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না কোথাও। থামছে না মৃত্যুর মিছিলও। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। সেখানেও শ্রমিকরা কাজ করছেন সুরক্ষার কোনো বালাই ছাড়াই।

Print Friendly

Related Posts