বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আরও দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে তিনজনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতেই দুজন মারা যান। এরা হলেন- পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) দায়িত্বরত সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খালেক (৩৬) ও ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২)।
জানা গেছে, করোনাআক্রান্ত হওয়ার পর খালেক আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে এবং আর আশেক মাহমুদ রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মারা যান।
পিওএম এর যুগ্ম কমিশনার আব্দুল মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর খালেককে মতিঝিল আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়। বুধবার তার করোনার পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হয়। পরে রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। রাতে তিনি অচেতন হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল খালেকের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে।
অন্যদিকে ডিএমপি’র ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এডমিন) বদরুল হাসান বলেন, করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর কনস্টেবল আশেক মাহমুদকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুলিশের তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনারয় পজিটিভ বলে রিপোর্ট আসে।
পরে বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। তার বাড়ি জামালপুর মেলান্দ এলাকায়।
এর আগে মঙ্গলবার জসিম উদ্দিন নামে এক পুলিশ সদস্য মারা যান।
করোনাভাইরাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, পুলিশ প্রধান নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করে পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।