এসো হে বৈশাখ
ডাকাতিয়া নদীর কোল ঘেঁষে ছোট একটি গাঁ,
শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত নামটি কাছিয়াড়া।
চৈতালী শেষে বৈচিত্র্যময় রূপরেখায় নারিকেল তলা,
নবান্নের সূচনা পেলেই যেতাম বৈশাখী মেলা।
এসো হে বৈশাখ-
আজি হতে মনে পড়ে সেই মেলার কথা,
ঘনঘটা মুহুর্তে ধারণ করে ঘুমঘুম শব্দে,
তারই মাঝে ভেসে বেড়ায় শৈশবের গন্ধে।
এসো হে বৈশাখ-
ইচ্ছে করে আবার যেন মাঠ ফিরিয়ে যাই,
রমনার বটমূলে তখন মনে হয় যেন-
এই সেই আমার গাঁয়ের নারিকেল তলা,
যেখানে বসতো বৈশাখী মেলা।
এসো হে বৈশাখ-
তাইতো ভাবি আবার ঘুরে এলো ডাকাতিয়ার প্রান্তরে,
নতুন বছরের নতুন স্বাদে লাখো মানুষের তরে
গর্জে উঠি তারই সাথে
এসো হে বৈশাখ…এসো এসো….॥
তৃষ্ণার্ত গাঙচিলের দল
হঠাৎ করে একঝাঁক গাঙচিল,
ডাকাতিয়া নদীতে এসে বসছে।
কি যেনো খুঁজছে কিছিরমিছির শব্দে,
বলে কোথায় সেই তৃষ্ণার জল।
যেখানে এসেছিল এক সময়,
আমাদের পূর্ব অনুসারী গাঙচিলের দল।
তাইতো আমরা তাদের ঐতিহ্য
ধরে রাখার জন্য আবার এসেছি
সেই এক ছোট্ট আশ্রমে যার-
নামটি হলো ডাকাতিয়া নদী।
প্রচন্ড তাপদহ আর তৃষ্ণার্ত গাঙচিলের দল,
মন ব্যাকুল হয়ে বলে কোথায় আছে জল।
তাইতো সেই আঁকাবাঁকা নদীর কূল,
যেখানে এসেছে গাঙচিলের দল।
এমন সময় সাত আসমান যেন
রেগে-চটে গর্জন করে বলে,
এখনি তোরা চলে যা এ আশ্রম থেকে
তোদের জীবন বাঁচাতে হলে।
কিন্তু কে শুনে আর সেই আকাশের কথা
গাঙচিলেরা তো তৃষ্ণার্ত
কিছির-মিছির করে বলে-
ঐ গর্জন আকাশ আমরা তো পিপাসার্ত।
গগনে গরজে শব্দ না করে দাও যে তৃষ্ণার জল,
তাইতো এসেছি ডাকাতিয়ায় গাঙচিলের দল।